বছরের শুরুতে প্রথম ই-বাইক আনছে হোন্ডা

নতুন বছরের শুরুতেই প্রথম বৈদ্যুতিক বাইক আনতে চলেছে জনপ্রিয় জাপানিজ টু হুইলার নির্মাতা কোম্পানি হোন্ডা। খুব শিগগিরই ইলেকট্রিক এই মোটরসাইকেল বাজারে আনতে চলেছে হোন্ডা। ২০২৪ সালের শুরুতেই বাজারে আসতে পারে জাপানি এই ই-বাইক। আর ইলেকট্রিক টু হুইলারের বাজারে এই স্কুটারের মাধ্যমেই নাম লিখাতে চলেছে।

বিশ্ব বাজারে অসংখ্য ই-বাইক আছে এই মুহূর্তে। দিন দিন বেড়েও চলেছে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা। এজন্য সব ছোট-বড় সংস্থাই হাজির হচ্ছে তাদের নিজস্ব বৈদ্যুতিক সাড়ি, বাইক, স্কুটার নিয়ে।

আগেই জানা গিয়েছিল, সংস্থার জনপ্রিয় বাইক অ্যাক্টিভার উপরে ভিত্তি করে তৈরি করা হচ্ছে এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি। তবে স্কুটারের ডিজাইন ফিউচারিস্টিক। সাধারণত হালফিলের কনসেপ্ট ইলেকট্রিক ভেহিকলে যে সব র‍্যাডিকল ভিজুয়াল এলিমেন্ট দেখা যায়, সেগুলো দেওয়া হয়নি স্কুটারটিতে।

ইলেকট্রিক স্কুটারটির সামগ্রিক প্রোফাইল আধুনিক স্কুটারগুলোর মতোই। স্কুটারের সামনের আলোকিত হোন্ডা ব্র্যান্ডিং সহ একটি এলইডি লাইট বার এটিকে এক্কেবারে স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়। স্কুটারের ফ্রন্ট লাইটিং প্যানেলে ব্লু অ্যাক্সেন্টে ইলেকট্রিফায়িং টাচ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই একই টাচ আবার হ্যান্ডেলবার থেকে শুরু করে ফ্লোরবোর্ড, টেইল সেকশন এবং বাব মোটরেও রয়েছে।

স্কুটারটিতে রিমুভেবল ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হচ্ছে স্কুটারে, যা সিটের নিচে থাকবে। যেহেতু ব্যাটারি এই স্কুটারের সিটের নিচের অনেকখানি জায়গা দখল করে থাকবে, তাই সেখানে আলাদা করে জিনিসপত্র রাখার ততটাও জায়গা ফাঁকা থাকবে না।

রিমুভেবল বা সোয়্যাপেবল ব্যাটারি প্যাকের এক-একটার ক্যাপাসিটি প্রতি ঘণ্টায় ১.৩ কিলোওয়াট, যাকে মোবাইল পাওয়ার প্যাক বলছে হোন্ডা। টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক, রিয়ার মনোশক, ফ্রন্ট ডিস্ক এবং রিয়ার ড্রাম ব্রেক সেটআপ যে থাকছে, এটুকু নিশ্চিত করা গিয়েছে। ১২ ইঞ্চির চাকায় দৌড়বে এই হোন্ডা ইলেকট্রিক স্কুটার। ভারতে বাইকের দাম হবে অন্যান্য ইলেকট্রিক বাইকের কাছাকাছি, এমনটাই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

 

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.