টাকমাথায় চুল গজানোর সহজ ৪ উপায়

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই চুল উঠতে শুরু করে। এটি স্বাভাবিকই ধরা হয়। কিন্তু কেউ কেউ অল্প বয়সেই চুল হারান। টাক মাথা সঙ্গী হয় তাদের। এই টাকমাথায় চুল ফেরাতে অনেকেই নানা টোটকার সাহায্য নেন। কেউ কেউ ওষুধ খান। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।

মাত্র এক সপ্তাহেই টাকমাথায় নতুন চুল গজাতে পারে। এর জন্য কাজে লাগাতে হবে বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়। ঘরোয়া উপাদান হওয়ার এসবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ারও আশঙ্কা থাকে না। চলুন এমন ৪টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিই-

নিমপাতা

ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে দারুণ কাজ করে নিমপাতা। কেবল ত্বক নয়, চুলের যত্নেও এটি বেশ কার্যকরী। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই পাতা। এজন্য এক মুঠো নিমপাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা করে বোতলে সংরক্ষণ করুন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন এই কাজটি করুন।

নিয়মিত এই নিমপাতার পানি ব্যবহারে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বা খুশকির সমস্যা কমবে। চুলের গোড়া হবে শক্ত। এতে নতুন চুলও গজাবে।

পেঁয়াজের রস

এই মশলার ঝাঁঝালো গন্ধ অনেকের কাছেই বিরক্তিকর লাগতে পারে। তবে পেঁয়াজও চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে দারুণভাবে কাজ করে। এজন্য পেঁয়াজ ভালোভাবে বেটে বা ব্লেন্ড করে পানি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ভালোভাবে মাথায় লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২/৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করুন। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

মেথি

নতুন চুল গজাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে নতুন চাল। পরিষ্কার পানিতে মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে উঠে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ব্লেন্ড করা মেথি চুলে সরাসরি লাগান। দই-মধুর সঙ্গে মিশিয়েও লাগাতে পারেন। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহারে নতুন চুল গজাবে।

কালো জিরা ও মেথি

শুধু মেথিতে কাজ না হলে কালো জিরের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারে। প্রথমে এই দুই উপাদান রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর গুঁড়ো করে নিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তেলের এই মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর কাঁচের বোতলে রেখে দিন। প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে এই মিশ্রণ। সপ্তাহে তিন দিন এই তেল ব্যবহারে চুল গজাবে।

 

 

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.