‘অবরোধকে সবাই বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে, এরপরও লজ্জা হয় না ওদের’

বিএনপির অবরোধকে সবাই বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এরপরও লজ্জা হয় না ওদের। বিএনপির লজ্জাও হারিয়ে গেছে।’

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ‘ফিচার সংকলন/এসডিজি ও উন্নয়নমূলক’ বইয়ের উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘অবরোধের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যানজট হচ্ছে। দূরপাল্লার গাড়িও চলছে। এ যে কর্মসূচি দিয়ে তারা নিজেদের হাস্যকর করছে, আমি বুঝি না তারা এ সিদ্ধান্তগুলো নেয় কীভাবে। এ সব কর্মসূচি কেউ মানছে না, বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিচ্ছে যে, তোমাদের মানি না, কিসের অবরোধ! এভাবে গাড়ি-ঘোড়া চলা মানে, ওদেরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেওয়া। এরপরও লজ্জা হয় না ওদের। যার লজ্জা হারিয়ে গেছে। এ হলো পরিস্থিতি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। আমাদের দেশে গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল, সেটি আমরা বলতে পারি না। যেভাবে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে, সময় সময়ে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করা হচ্ছে… এখন একনাগাড়ে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করা হচ্ছে, এগুলো দেশের স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সবকিছুই বিনষ্ট করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কখনই উন্নয়ন সম্ভবপর নয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার যে নেতিবাচক রাজনীতি, এটি দেশের উন্নয়নের জন্য প্রচণ্ড অন্তরায়।’

নির্বাচন কমিশন বলেছে বিএনপি ভোটে এলে ভোট গ্রহণের তারিখ ঠিক রেখে পুনঃতফসিল দেওয়া হবে, কিন্তু বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ধ্বংসাত্মক এ অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি মনে করি তিনি যথার্থ বলেছেন। আশা করি বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’

তারেক রহমান বলেছেন, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর তারিখ সরকার ফেলে দেওয়া হবে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ রকম তো বহু ঘোষণা শুনেছি। যতবার তারা ঘোষণা দেয়, পালিয়ে যায় বা হারিয়ে যায়। এসব ঘোষণা আসলে তাদের হাস্যকর করে তুলেছে। তারা এসব ঘোষণা দিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিএনপি এখন প্রকৃত অর্থে সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাদের নেতারাও সন্ত্রাসী নেতায় পরিণত হয়েছে।’

‘একটি নির্বাচিত সরকারকে দিন তারিখ বলে ফেলে দেওয়া এটাই তো একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এই অপরাজনীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে দেশের বাস্তবতা ওনাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ সিদ্ধান্তটা ওখান থেকে আসে। যারা পলাতক কিংবা যারা নির্বাচন করতে পারবে না, তারাই সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তাদের থলে থেকে তো আস্তে আস্তে সবাই বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি, থলে থেকে যাতে বের না হয় সেটার জন্য একটু সচেষ্ট হবেন।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.