লেবাননকে রুখে দিলো বাংলাদেশ

র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে লেবানন। কিংস অ্যারেনায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই দলের লড়াইয়ে সেটা অবশ্য বোঝা যায়নি। বাংলাদেশ লেবাননের সঙ্গে পুরো ৯০ মিনিট সমানতালে লড়ে ১-১ গোলে ড্র করেছে। এই এক পয়েন্ট বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তিই।

কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ জাতীয় দল এ নিয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছে। চার ম্যাচের একটিতেও হারেনি। আজ কিংস অ্যারেনায় দুর্দান্ত এক ফুটবল ম্যাচের স্বাক্ষীই হয়েছেন কয়েক হাজার দর্শক। বিশেষত মোরসালিনের দুর্দান্ত গোলের উল্লাসে মেতেছেন ফুটবলপ্রেমীরা।

এই ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্ত এই তরুণ স্ট্রাইকারের গোল। ৭৩ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান মোরসালিন। এত দূর থেকে গোলের এমন দৃশ্য বাংলাদেশের ফুটবলে দেখা যায় কদাচিৎ। মোরসালিন নয় ম্যাচে চার গোল করে নিজের যোগ্যতা ও সার্মথ্যের প্রমাণ দিয়েছেন।

বাংলাদেশের গোলটি যেমন অসাধারণ হয়েছে, বিপরীতে লেবাননের গোলটি হয়েছে সৌভাগ্যপ্রসূত। নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা ইনজুরির জন্য দ্বিতীয়ার্ধে নামতে পারেননি। বদলি গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ ৬৫ মিনিটে পোস্টের সামনে এসে বল ধরতে পারেননি। লেবাননের বদলি ফুটবলার ওসমান প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠান।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার রাকিব ও সাদ উদ্দিনকে বাইরে রেখেই। কার্ডের জন্য তারা একাদশে ছিলেন না। এই দুই পরিবর্তনের সঙ্গে আরো দুই পরিবর্তন আনেন কোচ। ফরোয়ার্ডে ফাহিম ও মোরসালিনের সমন্বয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জুড়ে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল।

লেবানন ম্যাচের প্রথম দিকে নিয়ন্ত্রণ করলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ খেলার গতি বাড়ায়। লেবানিজ ফরোয়ার্ডদের উচ্চতা, টেকনিককে বাংলাদেশ ডিফেন্ডাররা বেশ ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছেন। লেবানন ক্লিয়ার গোলের চান্স সেভাবে তৈরি করতে পারেনি।

লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশ এ নিয়ে চার বার মুখোমুখি হলো। চার ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ একবার জয় পেয়েছে, একবার ড্র করল। আর দুই বার হেরেছে। হোম ম্যাচে বাংলাদেশ লেবাননের বিপক্ষে অপরাজিত থাকার রেকর্ড বজায় রাখল। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ০-২ গোলে জিতেছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচে বৃষ্টিতে ম্যাচ কাদাময় ছিল। আজ কিংস অ্যারেনায়ও বাংলাদেশ কিছু সুবিধা পেয়েছে মাঠের বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.