শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব প্রায় ৪০ লাখ

দেশে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্কুল ব্যাংকিং। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলেছে। তবে একই সময়ে এ খাতে আমানতের পরিমাণ কমেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ২১০টি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যেখানে স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাব ছিল ৩১ লাখ ৮১ হাজার ১৬০টি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব বেড়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০টি।

হিসাব বাড়লেও স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে স্কুল ব্যাংকিংয়ের আমানত ছিল দুই হাজার ২৮৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ কমে দুই হাজার ২৩২ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় স্থির হয়েছে। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিয়ে হিসাব খোলায় এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছেলেদের ব্যাংক হিসাব ছিল ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭২৬টি। বিপরীতে নারী শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৪টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে জমা হওয়া আমানতের মধ্যে ৭১ দশমিক ৮৩ শতাংশই ছিল শহরে। শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এ সময়ে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার আমানত জমা করেছে। বিপরীতে গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৬২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা মোট আমানতের ২৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে ২০১০ সালে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে স্কুল ব্যাংকিংয়ের পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম নীতিমালা গ্রহণ করে। এরপর থেকেই দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্কুল ব্যাংকিং।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.