২০৪১ এর অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ফিকি’র অধিবেশন

বিগত পাঁচ দশকের গৌরবময় যাত্রায় বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে নিজেদের অনন্য স্থান নিশ্চিত করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার ও তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে ভিশন-২০৪১ অর্জনে বাংলাদেশ একটি মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যবসা-বানিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন-কে উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে গণ্য করে এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (ফিকি) কর্তৃক আয়োজিত ‘৬০ বছর পূর্তী উদযাপন ও বিনিয়োগ মেলা ২০২৩’ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেটঃ কারেন্ট ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড ভিশন ২০৪১’-শীর্ষক এক অধিবেশনে বক্তারা এমনই মতবাদ ব্যক্ত করেন।

অধিবেশনে বক্তারা বলেন,  ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিযোগীতা বৃদ্ধির উপর আরও বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। এটি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ও টেকসই প্রচেষ্টাকে তুলে ধরবে। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব শক্তিশালী করতে ব্যাপক নীতি অনুসন্ধান, কৌশলগত সংস্কার এবং উদ্যোগ অপরিহার্য। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সংযোগের সমন্বয় সাধনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা টেকসই প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিময় ভবিষ্যতের সূচনা করে, বৈশ্বিক ল্যান্ডস্কেপের অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করবে।

অধিবেশনের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও মূল বক্তব্য সঞ্চালনা করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. এম. মাসরুর রিয়াজ।

মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, “বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে পুঁজির প্রবাহকে সহজতর করতে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে বিনিয়োগজনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা, বৈচিত্র্যের প্রচার করা এবং লজিস্টিক নীতিগুলোকে উন্নত করা আবশ্যক। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পিপিপি প্রকল্প এবং ব্লু-ইকোনমি অনুসন্ধান-সহ নানা প্রচেষ্টা বেসরকারী খাতের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে। বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশকে একটি লাভজনক বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলাই এই প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য।”

ড. এম. মাসরুর রিয়াজ বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচনালগ্ন থেকে বিশ্বের একটি প্রতিযোগীতামূলক দেশ হিসেবে নিজেদের গঠন করাই ছিলো আমাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়াও, বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের বাণিজ্য করার সু্যোগ তৈরি, ডব্লিউটিও ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন চুক্তি, ডিজিটালাইজেশনের প্রতিশ্রুতি ছিলো এই কর্মকাণ্ডের মূল বিষয়বস্তু। তবে, শুধুমাত্র প্রতিযোগীতা নয় বরং ২০৪১ সালের মধ্যে নিজেদের উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলাই ছিলো এর আসল উদ্দেশ্য।”

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

মন্তব্য
Loading...