আল্লাহ চাইলে ‘বিজয় অথবা শাহাদাতের’ এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা বিজয়ী হবে: হামাস

হামাস একটি দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে- জানিয়ে সংগঠনটির সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেন, ইসরাইলি সেনারা যতদিন গাজায় অবস্থান করবে ততদিন তাদের হতাহতের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা চাইলে ‘বিজয় অথবা শাহাদাতের’ এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা বিজয়ী হবে।

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে তার বাহিনীর সংঘর্ষের বিবরণ দিয়ে আবু উবায়দা বলেন, গত চার দিনে- আমাদের যোদ্ধারা মারকাভা ট্যাংক ও বুলডোজারসহ ৬২টি ইসরাইলি সামরিক যানকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা তিন দিন আগে একটি একক হামলায় ৯ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, প্রতিনিয়ত হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরাইলি সেনারা মারা পড়ছে এবং তারা বহু ফ্রন্টে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তেল আবিব তার নিহত সেনাদের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করছে না।

যদিও ইসরাইল এখন পর্যন্ত গাজা যুদ্ধে তাদের ৫১ সেনার নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে হামাস বলছে, এই সংখ্যা বহুগণ বেশি। অবশ্য হামাসের এই সামরিক মুখপাত্র ইসরাইলি নাগরিকদের উদ্দেশ করে বলেন, তোমাদের নিহত সেনাদের সংখ্যা আজ হোক কিংবা কাল তোমরা শুনতে পারবে এবং সে সংখ্যাটি তোমাদের কল্পনার চেয়েও অনেক অনেক বেশি। সকল আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লঙ্ঘন করে ইসরাইলি সেনারা আল-শিফা হাসপাতালে যে বর্বরতা চালিয়েছে তাকে আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য ‘অপমানকর’ বলে মন্তব্য করেন কাসসাম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র।

তিনি আরও বলেন, যে আন্তর্জাতিক সমাজ মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের কথা বলে তারা একটি হাসপাতালে ট্যাংকের অনুপ্রবেশ রোধ করতে পারেনি। খবর- পার্সটুডে

ওই হাসপাতালের নীচে হামাসের ‘কমান্ড সেন্টার’ রয়েছে দাবি করে গত কয়েকদিন ধরে সেখানে হামলা চালিয়ে হাসপাতালটিকে তছনছ করে ফেলেছে দখলদার সেনারা। যদিও আল-শিফাকে নিয়ে তেল আবিবের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আবু উবায়দা বলেন, নেতানিয়াহু আল-শিফায় যা খুঁজে বেড়াচ্ছেন তা চরম হাস্যকর। তিনি ওই হাসপাতালে দখলদার সেনাদের অভিযানকে ‘মরিচিকা তল্লাশি অভিযান’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি তার বক্তব্যের শেষাংশে ইসরাইলি আগ্রাসনে চরম আত্মত্যাগ ও ধৈর্যধারণ করায় গাজাবাসী ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.