বরখাস্ত হলেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনায় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত হলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে তাকে দায়িত্ব ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ হারালেন ব্রেভারম্যান। এর আগে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে লিজ ট্রাসের সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই তাকে ফের ওই পদে নিযুক্ত করেন নতুন প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক।

সোমবার বরখাস্ত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। সময় হলে আমি আরও বলবো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় এই রদবদল ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত প্রদানে রিশি সুনাকের সরকারকে শক্তিশালী করেছে’।

এই রদবদল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

যে কারণে বরখাস্ত হলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান

গত সপ্তাহে সংবাদপত্রে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন সুয়েলা ব্রেভারম্যান। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন তিনি। ফিলিস্তিনিপন্থিদের একটি বিক্ষোভ মোকাবিলায় মেট্রোপলিটন পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন এ নেতা।

ব্রেভারমানের এই আচরণের কারণে রাজনৈতিক মহলে চাপের মুখে পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাককে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যে পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনার স্বাধীনতা লঙ্ঘন হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলের এমপিদের কাছ থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েন ব্রেভারম্যান। তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ এবং ‘উসকানিমূলক’ বলে অভিহিত করেন।

শেষ পর্যন্ত সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তই নিলেন প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক।

সূত্র: স্কাই নিউজ

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.