মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের রাস্তা অবরোধ

রাজধানীর মিরপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে পোশাক কারখানার কয়েকশ শ্রমিক। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শ্রমিকেরা মিরপুর ১৩ নম্বর সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

শ্রমিকেরা বলছেন, ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর ঘোষণায় তারা সন্তুষ্ট নন। রোববার কারখানায় কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন, সবার বেতন সমান হারে বাড়েনি। সরকার ৫৬ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। তবে যারা অভিজ্ঞ শ্রমিক তাদের বেতন বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ। এ কারণে তারা আবারও বিক্ষোভ করছেন।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১০ নম্বরের সড়কে অবস্থান নিয়ে পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ২ ঘণ্টা অবরোধের পর তারা রাস্তা থেকে সরে যান।

কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১৩ এলাকার সড়ক অবরোধ করলেও পরে তারা মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় চলে যান।

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে শ্রমিকদের শুরু করা আন্দোলনের মধ্যে গত মঙ্গলবার পোশাক খাতের জন্য সরকার গঠিত মজুরি বোর্ড ১২ হাজার ৫০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে। তবে নতুন বেতনকাঠামো প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শ্রমিকেরা। তারা ন্যূনতম মজুরি ২৩-২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মালিকপক্ষের দেওয়া ১২ হাজার ৫০০ টাকার প্রস্তাবই চূড়ান্ত করে শ্রম মন্ত্রণালয়। এদিকে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘিরে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় ঢাকার অদূরে সাভার ও ধামরাইয়ে ১৩০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ কারখানা না খোলার ইঙ্গিত দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ-ভাঙচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২২ মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ হাজার জনকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.