চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট কাটতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এমন ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলেছেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। জস হ্যাজেলউডের করা প্রথম ওভারে কোনো রানই নিতে পারেননি তারা। পঞ্চম ওভারে লিটন সেই হ্যাজেলউডকেই পুল করে চার মেরে আড়মোড়া ভাঙার ইঙ্গিত দেন। পরের ওভারে প্যাট কামিন্সকে লেংথ বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে এক্সটা কাভার দিয়ে চার মারেন তানজিদ। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের দুই ওপেনারই হাতখুলে খেলেছেন। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬২ রান। অবশ্য দারুণ শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ।
শেন অ্যাবোটের বলে লিডিং এজ হয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। আউট হওয়ার আগে তানজিদের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ বলে ৩৬ রান। বাংলাদেশ ৭৬ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে। তানজিদ ফেরার পর শন্তকে নিয়ে কিছুটা ধীর গতিতে খেলছিলেন লিটন। তবে এক পর্যায়ে অ্যাডাম জাম্পার ওপর চড়াও হতে গিয়ে তিনি আউট হয়েছেন। জাম্পার করা টসড আপ ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন লিটন তবে ব্যাটে বলে না হলে তা ধরা পড়ে সীমানায় ফিল্ডিং করা মার্নাস ল্যাবুশেনের হাতে।
লিটন ফিরলেও বেশ ভালোভাবেই অ্যাডাম জাম্পা-ট্রাভিস হেডদের সামাল দিচ্ছিলেন শান্ত। চার নম্বরে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে তার চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন হৃদয়। তবে শান্ত হাফ সেঞ্চুরির আগেই ফিরেছেন রান আউট হয়ে। অ্যাবোটের বলে পুল করতে চেয়েছিলেন শান্ত। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি।
বল চলে যায় মিড উইকেটে ল্যাবুশেনের হাতে। তার দ্রুত গতির থ্রোতে বল হাতে পেয়েই স্টাম্প ভেঙ্গে দেন জস ইংলিস। দুই রান নিতে গিয়ে শান্ত ডাইভ দিয়েও ক্রিজের ভেতরে ঢুকতে পারেননি। নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরার পর বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তাওহীদ হৃদয়। যদিও দলীয় ২১৪ রানে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। হৃদয় ছিলেন স্ট্রাইকে, বলটি মোকাবেলাও করেন তিনি। কিন্তু রান নেয়ার জন্য একটু আগে চলে আসা মাহমুদউল্লাহকে ডিরেক্ট থ্রো’তে বিদায় করেন মার্নাস ল্যাবুশেন।
হৃদয়ের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটিটি ছিল ৪৪ রানের। এই ইনিংসের মাধ্যমে বিশ্বকাপ শেষ করলেন ৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তাওহীদ হৃদয়। এবারের বিশ্বকাপে এটাই হৃদয়ের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। মুশফিকুর রহিমও ভালো শুরুর ফায়দা নিতে পারেননি। জাম্পার শর্ট মিড উইকেট দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন প্যাট কামিন্সের হাতে। এর ফলে শেষ হয়েছে মাহমুদউল্লাহর ২৪ বলে ২১ রানের ইনিংস। হৃদয়ের সম্ভাবনাময় ইনিংসের ইতি টেনেছেন মার্কাস স্টইনিস।
এই অজি পেসারের ফুল টস ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন হৃদয়। তবে সীমানা পাড় করতে পারেননি। বল চলে যায় ল্যাবুশেনের হাতে। ফলে ৭৯ বলে ৭৪ রানে শেষ হয় হৃদয়ের ইনিংস। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ২টি ছক্কা ও ৫টি চারের মার। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদের ব্যাটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০০ ছাড়ায়। শেষ ওভারে অ্যাবোটের বলে পুল করতে গিয়ে কাভারে কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ২৯ রান করা মিরাজ। নাসুম হয়েছেন রান আউট।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.