বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েলকে পেতে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়া

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের সঙ্গে বেশ কয়েকটি জায়গায় ক্র্যাম্প হলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠ ছাড়েননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বরং অবিশ্বাস্য, অতিমানবীয় অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন, তুলেছেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে অস্ট্রেলিয়ার জন্য লক্ষ্যটা ২৯২ রান। সেটি তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯১ রানে ৭ উইকেট হারায় পাঁচবারের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। তখনও জয়ের জন্য অজিদের প্রয়োজন ২০১ রান, স্বীকৃত ব্যাটার বলতে উইকেটে কেবলই ম্যাক্সওয়েল। প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে সেই পথই পাড়ি দেবার চেষ্টা করলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত অসম্ভব এক পথ পাড়িও দিলেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অধিনায়ক কামিন্স। তাদের দুজনের ১৭০ বলে অবিচ্ছিন্ন ২০২ রানের জুটিতে অবিশ্বাস্য জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। যেখানে সবচেয়ে বেশি অবদান ২০১ রানে অপরাজিত থাকা ম্যাক্সওয়েলের। কামিন্সের সঙ্গে গড়া ২০২ রানের জুটিতে ম্যাক্সওয়েল করেন ১৭৯ রান।

এমন ইনিংস খেলাটা মোটেও সহজ ছিল না ম্যাক্সওয়েলের জন্য। পায়ে ক্র্যাম্প হওয়ায় দৌড়ে রান নিতে পারছিলেন না সেভাবে। কখনও কখনও মাঠে পড়েও গিয়েছেন। ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবারও খেলার উপযুক্ত করে তুলেছেন তারকা এই অলরাউন্ডারকে। ফুটওয়ার্কের ব্যবহার না করেও বড় বড় সব ছক্কা মেরেছেন, দলকে জিতিয়েছেন।

ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার ফিজিও নিক জোন্স জানিয়েছিলেন, ম্যাক্সওয়েলের ডান পায়ের পেছনের পেশি, বাম পায়ের হ্যামস্ট্রিং ও বেশ কিছু জায়গায় ক্র্যাম্প হয়েছিল। ম্যাচের মাঝে এমনভাবে পরে গিয়েছিলেন মনে হয়েছে তাকে কেউ গুলি করেছে। এমন অবস্থার পরও পুরো ম্যাচ শেষে করে এসেছেন ম্যাক্সওয়েল।

মুম্বাইয়ের মাত্রাতিরিক্ত গরম অবশ্য এসবের পেছনে অনেকটা দায়ী। যে কারণে ১১ অক্টোবর পুনেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েলকে পেতে আশাবাদী করছে অস্ট্রেলিয়াকে। নিউজ লিমিটেডকে হ্যাজেলউড বলেন, ‘হ্যাঁ! আমার মনে হয় (খেলবে)। বিষয়টা হলো পানিশূন্যতা পূরণ করা এবং নিজের ওজন আগের জায়গায় ফেরত নেওয়া। আমার মনে হয় না, সে মাঝের এই সময়ে খুব বেশি কিছু করবে। এখনও দুই দিন আছে। তো আশা করছি, সে পুরোপুরি ঠিক আছে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.