গুলিস্তানে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বিএনপি-জামায়াতের টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানে বিকল্প পরিবহনের বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৫ মিনিটের দিকে গুলিস্তানে বাসে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রাজধানীর গুলিস্তানে বিকল্প পরিহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

অবরোধের প্রথমদিন শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৯টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে কককেট নিক্ষেপ ও কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে রাজধানীতে সাতটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একটি পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। ভোরে ডেমরার মাতুয়াইলে সাদ্দাম মার্কেটের সামনে ও শ্যামপুরের জুরাইন বালুর মাঠ এলাকায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এরপর ভোর সোয়া ৫টায় মিরপুর-৬ নম্বরে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

পরে সকালে মেরাদিয়ার বাঁশপট্টি এলাকায় একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ওই বাসের যাত্রী সবুজ মিয়া (৩০) দগ্ধ হন। সবুজ মিয়া পেশায় বাসচালক। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চৈতালি নামে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। যদিও ওই আগুন তাৎক্ষণিকভাবে নেভানো সম্ভব হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলামোটর মোড়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়। বাংলামোটর পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আধাঘণ্টা পর মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকায় শিকড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ দুটি ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নেভায়।

এদিকে রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর পলাশী মোড়ে একটি প্রাইভেটকারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই প্রাইভেটকারটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে রাখা ছিল। এছাড়া একই সময়ে কারওয়ান বাজারে একটি পিকআপভ্যানে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পিকআপের পেছনে থাকা সোফায় আগুন লাগে।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাসে-প্রাইভেট কারে আগুন লাগায় দুর্বৃত্তরা।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.