সেমিফাইনালের আরও কাছে অস্ট্রেলিয়া

ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালের যাওয়ার কোন পথ খোলা ছিল না। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা করে নিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় প্রয়োজন ছিল ইংলিশদের। আহমেদাবাদে সেটাও পারলেন না জস বাটলাররা। এদিকে সেমিফাইনালের যাওয়ার পথ সহজ করতে জিততেই হতো অস্ট্রেলিয়াকে। ২৮৬ রানের পুঁজি পেয়েও অ্যাডাম জাম্পা ও তিন পেসারের কল্যাণে ৩৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে প্যাট কামিন্সের দল। তাতে করে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা অজিরা সেমিফাইনালের আরও কাছে চলে গেল।

জয়ের জন্য ২৮৭ রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। মিচেল স্টার্কের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। ভালো শুরু করা জো রুটকেও ফিরিয়েছেন স্টার্ক। বাঁহাতি এই পেসারের বলে ১৩ রান করা রুটও ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে, জশ ইংলিসের গ্লাভসে। এরপর অবশ্য দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন দাভিদ মালান ও বেন স্টোকস। ৬৩ বলে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।

কামিন্সের বলে ট্রাভিস হেডকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৫০ রানের ইনিংস খেলে। তার সঙ্গে জুটি গড়া স্টোকস পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৭৩ বলে। তাকে ফেরান লেগ স্পিনার জাম্পা। মার্কাস স্টইনিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথে হেঁটেছেন ৬৪ রান করে। মঈন আলী ৪৩ রানের ইনিংস খেললেও ব্যাট হাতে এদিন ব্যর্থ ছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও বাটলার। শেষ দিকে ক্রিস ওকসের ৩২ এবং আদিল রশিদের ২০ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন জাম্পা। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক, কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড।

এই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায়নি অস্ট্রেলিয়া। তারা দলীয় ১১ রানেই হারায় ওপেনার ট্রাভিস হেডের উইকেট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার আউট হয়েছেন ১৫ রান করে। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৭৫ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস টানেন স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস ল্যাবুশেন। হাফ সেঞ্চুরির আগেই ৪৪ রান করে আউট হয়ে যান স্মিথ। এরপর জস ইংলিসের বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল অজিরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস টেনেছেন ল্যাবুশেন। ৭১ রান করে এই অভিজ্ঞ ব্যাটার ফিরে গেলে ক্যামেরন গ্রিন ও মার্কাস স্টইনিস মিলে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।

গ্রিন ৪৭ ও স্টইনিস ৩৫ রান করে আউট হয়েছেন। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রানের ইনিংস। শেষদিকে মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জাম্পার দারুণ জুটিতে ২৮৬ রানের পুঁজি পেয়েছে। জাম্পা শেষদিকে আউট হয়েছেন ২৯ রান করে। ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিস ওকস একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড ও আদিল রশিদ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ডেভিড উইলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.