ঢাকা চেম্বার ও মক্কা চেম্বারের মধ্যে চুক্তি

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং মক্কা চেম্বার অব কমার্সের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা ও বিটুটি সেশন বুধবার (০১ নভেম্বর) মক্কা চোম্বারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং মক্কা চেম্বার অব কমার্সের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেখানে ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মোঃ সামীর সাত্তার এবং মক্কা চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জি. ইশমাট মাটোগ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মোঃ জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মোঃ সামীর সাত্তারের নেতৃত্বাধীন ৬১ সদস্যবিশিষ্ট বেসরকারিখাতের সর্ববৃহৎ প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ উক্ত বাণিজ্য আলোচনা ও বিটুবি সেশন সমূহে যোগদান করেন।

ডিসিসিআই’র প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে মক্কা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুল্লাহ গাদি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে, যেটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনুকরণীয়  ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা যায়, এটাতে আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমাদের কে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বেশ সম্ভাবনা আছে।

তিনি বলেন, মক্কা শহরে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন ও সংষ্কারের লক্ষ্যে সৌদি সরকার বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যেখানে তাঁর দেশের সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে।

আলোচনা অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মোঃ সামীর সাত্তার বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের  দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় অর্থনীতি ও নীতিসহায়তা মূলক বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করছে, যার সুযোগ নিয়ে সৌদি আরবের উদ্যোক্তারা একক ও যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। দুদেশের বিনিয়োগকারীদের মধ্যকার সুদৃঢ় ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ সহ সার্বিক অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, দুটি দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ রূপকল্প বাস্তাবায়নে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার সমন্বয় আরো জোরদার করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনার পাশাপাশি প্রতিযোগী মূল্যে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির সুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গুলোতে  আরো বেশি হারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য সৌদি আরবের উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহবান জানান।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.