পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশে ছিলেন না ফজলহক ফারুকি। তার বদলি হিসেবে খেলা নূর আহমেদ সেদিন বাবরের দলকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। ভেন্যু পরিবর্তন হওয়ার পর নূরের বদলি হিসেবে আবারও একাদশে সুযোগ মেলে ফারুকির। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাদশে ফিরেই ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। শ্রীলঙ্কা তাতে আটকে যায় ২৪১ রানে। এদিনের চিত্রটাও প্রায় পাকিস্তান ম্যাচের মতোই।
বোলারদের কল্যাণে প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকে দেয়ার পর রান তাড়া করে জেতা। লঙ্কানদের বিপক্ষে রান তাড়ার কাজটা সেরেছেন রহমত শাহ, আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং হাশমতউল্লাহ শাহিদী। তাদের তিন জনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্নে বিভোর আফগানিস্তান পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে উঠে এসেছে। শুধু তাই নয় ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার খুব কাছেও চলে গিয়েছে আফগানরা।
পুনেতে জয়ের জন্য ২৪২ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তান। ইনিংসের চতুর্থ বলেই উইকেট হারায় তারা। দিলশান মাদুশঙ্কার ইনসুইং ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ডানহাতি এই ওপেনার এদিন রানের খাতাও খুলতে পারেননি। তিনে নামা রহমতকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন ইব্রাহিম জাদরান। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৩ রান। দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি ইব্রাহিমের। মাদুশঙ্কার বাউন্সারে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ডানহাতি এই ওপেনার আউট হয়েছেন ৩৯ রানের ইনিংস খেলে। ইব্রাহিম ফেরার পর ৬১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রহমত। যদিও পঞ্চাশ পেরোনোর পর ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি।
কাসুন রাজিথার গুড লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়ে মিড অনে থাকা দিমুথ করুনারত্নের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৬২ রানের ইনিংস খেলা রহমত। এরপর আফগানিস্তানকে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি হাশমতউল্লাহ এবং ওমরজাই। তারা দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আফগানিস্তানদের জয় নিশ্চিত করেছেন। এদিন শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করেছেন ওমরজাই। হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৫০ বলে। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬৩ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। হাশমতউল্লাহ পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৬৭ বলে। আফগানিস্তানের অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৮ রানের ইনিংস খেলে। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন মাদুশঙ্কা।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেছেন পাথুম নিশানকা। এ ছাড়া কুশল মেন্ডিস ৩৯, সাদিরা সামারাবিক্রমা ৩৬ এবং মাহিশ থিকশানা করেছেন ২৯ রান। আফগানিস্তানের হয়ে ফারুকি চারটি এবং মুজিব উর রহমান নিয়েছেন দুটি উইকেট।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.