গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালে ইসরাইলের বোমাবর্ষণ

তুর্কি সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি সেনারা। সোমবার তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে বিমান হামলা চালায় দখলদার সেনারা। এতে হাসপাতালটির তৃতীয় ও ষষ্ঠ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই হাসপাতালের অবস্থান এবং সেখানকার কার্যক্রমের বিশদ বর্ণনা দিয়ে ইসরাইলকে এর আগে সেখানে হামলা না চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইসরাইলি সেনারা হাসপাতালটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত রাখার উদ্দেশ্যে গাজা উপত্যকার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ এবং সেখানকার আবাসিক ভবন ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর ওপর অমানবিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিবৃতিতে গাজার আবাসিক এলাকাগুলোর ওপর নির্বিচারে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য তেল আবিবের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

তুর্কি সরকারের অর্থায়নে গাজার ক্যান্সার হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ ২০১১ সালে শুরু এবং ২০১৭ সালে শেষ হয়। ৩৪,৮০০ স্কয়ার মিটার আয়তনের হাসপাতালটি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। ছয় তলাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে ১৮০টি বেড রয়েছে।

এর দু’সপ্তাহ আগে গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ করে ইহুদিবাদী সেনারা। এছাড়া, সোমবার ও তার আগের দিন গাজা সিটির আল-কুদস ও আশ-শিফা হাসপাতালের আশপাশে বোমাবর্ষণ করে ইসরাইলি সেনারা। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.