স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কুষ্টিয়ায় ‘প্রবৃদ্ধির’ যাত্রা শুরু

পৌরসভা পর্যায়ে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে কুষ্টিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত ‘প্রবৃদ্ধি’ প্রকল্প।

সম্প্রতি নগরীর দিশা টাওয়ারে কুষ্টিয়া পৌরসভা ও প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়।

১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া পৌরসভা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃত। অবস্থানগত কারণে এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পৌরসভা। এই এলাকার অর্থনীতি মূলত শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য এবং কৃষির ওপরে নির্ভরশীল। কৃষি পণ্যের পাশাপাশি টেক্সটাইল শিল্পেও কুষ্টিয়া বেশ অগ্রসর। সেই সাথে আইসিটি সেক্টরেও কুষ্টিয়ার রয়েছে অপার সম্ভাবনা। ক্রমবিকাশমান এই সব শিল্প ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় লক্ষাধিক জনশক্তির কর্মসংস্থান হয়েছে। কুষ্টিয়ার কৌশলগত অবস্থান এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এটিকে সম্ভাব্য স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এহতেশাম রেজা কুষ্টিয়ায় প্রবিদ্ধির যাত্রা শুরু হওয়ায় সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে কুষ্টিয়াকে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে ‘প্রবৃদ্ধি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কুষ্টিয়ার মেয়র মোঃ আনোয়ার আলী বলেন, পৌরসভা ও প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের মধ্যে এই চুক্তি কুষ্টিয়ার স্থানীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে এবং শিল্পের মান বাড়ানোর পথ তৈরি করবে। একই সাথে নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে আরও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সোহেল ইবনে আলী বলেন, উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কার্যকর ও কল্যাণকর এমন উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ার একটি রূপান্তরের যাত্রার সূচনা হয়েছে। এই প্রকল্পের যৌক্তিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়নের জন্য সহায়ক নীতিমালা ও নির্দেশিকা প্রণয়ন সম্ভব হবে। যার ফলে ব্যবসাবান্ধব স্থানীয় অর্থনীতি ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিডি) ও সুইসকন্টাক্ট -এর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রবৃদ্ধি প্রকল্পটি বর্তমানে দেশের ছয়টি পৌরসভার সাথে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে কাজ করছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.