ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ার জানিয়েছেন, তারা তাৎক্ষণিকভাবে বন্দী বিনিময় করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে কিন্তু ইসরাইল তা আটকে রেখেছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরাইলের জেলে আটক সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলি বন্দীদের বিনিময় করার জন্য চুক্তি সই করতে প্রস্তুত রয়েছি। আমি বন্দী বিনিময়ের ক্ষেত্রে কাজ করা সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যতিক্রম ছাড়াই দখলদারদের কারাগারে আটক পুরুষ ও নারী বন্দীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে, রাশিয়া সফরের সময় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাঈম বলেছেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজার ওপর বোমা হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত হামাস বন্দীদের মুক্তি দিতে পারবে না। চলতি সপ্তাহে তিনি হামাসের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মস্কো সফর করেন। সে সময় রাশিয়া টুডে বাসেমের সাক্ষাৎকার নেয়।
তিনি বলেন, লাগাতার ইসরিইলি বিমান হামলা এবং গাজার অভ্যন্তরে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ও অবরোধের মুখে হামাস গাজার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্দীদের পরিচয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। বন্দীদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও তালিকা তৈরির জন্য যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। তাদের হাতে বন্দীদের মধ্যে বেশকিছু এখন আর তাদের হাতে নেই। ইসরাইল যদি এই আগ্রাসন বন্ধ না করে তাহলে যুদ্ধ গাজা সীমান্তের বাইরে এমনকি এই অঞ্চলের বাইরে ছড়িয়ে পড়বে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা অপারেশন আল-আকসা স্টর্মের সময় প্রায় ২৫০ ইসরাইলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে বন্দী করে। পরে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, বন্দিদের মধ্যে ২০০ জন তাদের হাতে আটক রয়েছে; বাকিদের অন্যান্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর কাছে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি আল-কাসসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে, গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলি বিমান ও বোমা হামলায় প্রায় ৫০ ইসরাইলি বন্দী নিহত হয়েছে।
বন্দী মুক্তির বিষয়ে হামাস মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, আমাদের হাতে বিপুল সংখ্যক বন্দীর জন্য যে মূল্য দিতে হবে তা হলো সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি ও ইসরাইলি কারাগারগুলো খালি করা। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.