বন্ধ হয়েছে গাজার ৩০ হাসপাতাল

ইসরায়েলের টানা একের পর এক হামলার মুখোমুখি হচ্ছে গাজা। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ অন্তত ৩০টি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

গাজায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে সেই সঙ্গে মেডিকেল সামগ্রীও শেষ হয়ে গেছে। সে কারণে বেশিরভাগ হাসপাতালই তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

গাজার আল নাসর হাসপাতালে শুধু জরুরি বিভাগ চালু রয়েছে। সেখানকার আর সব বিভাগের কার্যক্রম এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছু হাসপাতাল শুধু জরুরী সেবা দিতে পারছে কিন্তু অন্যান্য রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

জরুরি ভিত্তিতে গাজায় জ্বালানি সরবরাহ করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। আগামী কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরও কিছু হাসপাতালও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ৮ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১৪০০ জন নিহত এবং ২২৯ জনকে জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় শুক্রবার রাতে ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে তীব্র লড়াই হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডস।

সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাঙ্ক গাজায় প্রবেশ করলে উত্তর গাজার বেইত হানুন এবং মধ্য গাজার বুরেজের কাছে তীব্র লড়াই হয়েছে বলে হামাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.