আফগানদের বিপক্ষে হেরে ড্রেসিংরুমে কেঁদেছিলেন বাবর

বিশ্বকাপের শুরটা অবশ্য দারুণ ভাবেই করেছিল বাবর বাহিনী। প্রথম দুই ম্যাচেই নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পায় তারা। কিন্ত ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে হারে দলটি। যদিও সেই ম্যাচেও দারুণ খেলছিল পাকিস্তান ব্যাটাররা। কিন্ত ১৫৫ রানের পর মাত্র ৩৬ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। এরপর আফ্রিদি, রউফদের তুলো ধুনো করে ৭ উইকেটের জয় পায় ভারত।

পরের ম্যাচে ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ৬২ রানে হেরেও আরও চাপে পরে বাবররা। সবশেষে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও প্রথম হার। সেই ম্যাচ রেকর্ড গড়ে মাঠে বেশ আনন্দে ছিলো আফগান ক্রিকেটাররা। যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে মোট ৭ বারের দেখায় সবগুলোতেই জয় ছিলো পাকিস্তানের। এমন রেকর্ড নিয়ে বাবর আজমের দল খেলতে নেমেছিল আফগানদের বিপক্ষে। কিন্ত বিশ্বকাপের মত বড় পাকিস্তানকে পাত্তা না দিয়ে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানরা। তাদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফদের কাঁদিয়ে ছেড়েছে।

তবে পাকিস্তানের ড্রেসিং রুমের চিত্রটা ছিলো একদম ভিন্ন। পাকিস্তানের একটি মিডিয়াকে দলটির সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফ জানান ম্যাচ শেষে ড্রেসিং রুমের কেঁদেছিলেন বাবর। সামা টিভির একটি শোতে ইউসুফ বলেছেন, ‘আমি সংবাদ সম্মেলনে দেখেছি এবং আমি অন্য সময়েও এটি লক্ষ্য করেছি যে, বাবর বেশ বিব্রত ছিল। আমি শুনেছি, আফগানদের কাছে ওই হারের পর বাবর কেঁদেছে। আসলে এখানে বাবরের একার কোনও দোষ নেই। পুরো টিম এবং ম্যানেজমেন্ট এর সঙ্গে জড়িত। আমরা বাবরের এই কঠিন সময়ে ওর পাশেই আছি। সমগ্র দেশের মানুষও ওর পাশে রয়েছে।’

এদিকে লম্বা সময় ধরেই বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কিছুদিন আগেও সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক বলেছেন অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতে। কারণ বাবারের অধীনে দলের কোনও উন্নতি নেই। এদিকে বিশ্বকাপ শেষে পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব থেকে বাবরকে সরিয়ে দেয়ার গুঞ্জনও চলছে বেশ। দলের এক গোপন সূত্র অনুসারে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বকাপে পাকিস্তান একটা মিরাকল করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারলেই, বাবরের অধিনায়কত্ব বেঁচে যেতে পারে। হয়তো শুধুমাত্র লাল বলের ক্রিকেটেই তাকে অধিনায়ক হিসাবে রাখা হতে পারে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.