রিজার্ভ নামলো ২ হাজার কোটি ডলারের ঘরে

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ডলার সংকট। ডলারের এই অস্থিরতা কোনভাবেই থামাতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতিমধ্যে সামনের দিনগুলোতে রিজার্ভ থেকে আরও ডলারের বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এরই মধ্যে রিজার্ভ কমে ২ হাজার কোটি ডলারের ঘরে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপিএম ৬ অনুযায়ী বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলার। চলতি মাসের ৫ তারিখে যার পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ অক্টোবরের ১৩ দিনে রিজার্ভ কমেছে ৯ কোটি ডলার।

এদিক চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে রিজার্ভ থেকে ৩৭৫ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যেখানে আগের অর্থবছরের পুরো সময়ে রিজার্ভ থেকে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়েছিলো। ডলার সংকট কমাতে ও টাকার মান ধরে রাখতে ডলার বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছিল আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে কোনো উদ্যোগেই এ সংকট কাটছে না। তবে রিজার্ভের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

এমনকি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পালনেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে পরিমাণ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখার কথা ছিলো তা রাখা সম্ভব হয়নি। তাই আন্তর্জাতিক ঐ দাতা সংস্থাটির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে শর্ত পূরণের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে হয়েছে।

এরপরেও ডলার বিক্রি চালিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, রিজার্ভে ডলার রেখে বসে থেকে লাভ নেই। দেশের মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে চাইলে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে রিজার্ভের অর্থ খরচের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.