অস্ট্রেলিয়ার একটি সংস্থা ইলন মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স’কে (সাবেক টুইটার) ৩ লাখ ৮৬ হাজার ডলার জরিমানা করেছে। শিশু নির্যাতন বিরোধী একটি কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই জরিমানা করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্স জানায়, অস্ট্রেলিয়ার ই-সেফটি কমিশন ‘এক্স’ কে জরিমানা করেছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটি শিশু নির্যাতনের উপাদান সনাক্তকরণ এবং তা অপসারণে ব্যর্থ হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘এক্স’, গুগল এবং টিকটক সহ আরও কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নোটিশ পাঠিয়েছে। এই নোটিশের মাধ্যমে শিশুদের যৌন নির্যাতনের উপাদান সনাক্তকরণ এবং অপসারণের জন্য তাদের ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিল অষ্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা। এরই ধারাবাহিকতায় এবং ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
এক্স বলেছেন, মাস্ক কোম্পানিটি কেনার তিন মাসের মধ্যে শিশু নির্যাতনের হার ৯০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
তবে অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তার বলেন, গুগল এবং এক্স শিশু নির্যাতনের বিষয়ে তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে ইলন মাস্ক অনেক টানা-হেঁচড়ার পর ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি টুইটার কিনে নিয়েছিলেন। কোম্পানির মালিকানা হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই তিনি টুইটারের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধান নির্বাহী পরাগ আগরওয়াল এবং ঊর্ধ্বতন বেশ কজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। এরপর টুইটারের লোগোর পরিবর্তনও করেন এই ব্যবসায়ী।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে এক্সের (সাবেক টুইটার) অদ্ভুত এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলন মাস্ক। এবার ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, এক্সে আদান-প্রদান করা কোনো লিংকের প্রিভিউয়ে লেখার শিরোনাম বা টাইটেল দেখা যাবে না। মাস্কের এ ঘোষণার পরপরই এক্সের আইওএস এবং ডেস্কটপ সংস্করণে আদান-প্রদান করা লিংকের শিরোনাম বা টাইটেল দেখা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ডিভাইসেও এ নিয়ম চালু করা হবে।
ইলন মাস্ক বলেছেন, নতুন এ পরিবর্তনের ফলে এখন থেকে এক্সের পোস্টগুলো আরও সুন্দরভাবে দেখা যাবে। আদান-প্রদান করা লিংকে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীরা তুলনামূলক কম সময় এক্স ব্যবহার করেন। আর তাই লিংকে ক্লিক করার বদলে এক্সে বড় পোস্ট পড়া ভালো।
অর্থসূচক/
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.