গবেষণার ক্ষেত্রে প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় নেওয়ার আহবান ইউজিসি সদস্যের

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড.মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে এর ফলাফল দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে কিনা সে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ইউজিসি’র সভাকক্ষে শিক্ষা বিভাগীয় কর্মচারী (শিক্ষক) কর্তৃক অর্জিত পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ও শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সামঞ্জস্য নিরূপণ শীর্ষক একাডেমিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলে, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছরই বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাকর্ম সম্পাদিত হচ্ছে। রিসার্চ জার্নালে পাবলিকেশনের মাধ্যমেই অনেক ভালো ভালো গবেষণা শেষ হয়ে যায় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রাপ্তিতে এসব গবেষণা সহায়ক হচ্ছে। কিন্তু গবেষণা করার ক্ষেত্রে এর ফলাফল দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে কিনা সে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে থাকে। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতি উপকৃত হয়। আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্যথায় দেশের উচ্চশিক্ষাখাত পিছিয়ে পড়বে।

সেমিনারে উপস্থিত দেশের ০৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫জন শিক্ষাবিদ পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে ইউজিসি’র প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

বিভিন্ন সরকারি কলেজের ১৫ জন শিক্ষকের পিএইচডি অভিসন্দর্ভ মূল্যায়নপূর্বক শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে অর্জিত ডিগ্রির সামঞ্জস্য নিরূপণে এই একাডেমিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.