গাজার ওপর সর্বাত্মক অবরোধ যুদ্ধাপরাধ: জাতিসংঘ

ইউএনএইচসিআর ও ইউনিসেফ-এর উদ্বেগ

গাজা উপত্যকার ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করাকে যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই বিশ্ব সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি ওই উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ ছিল, ফলে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপে সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়বে। গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রতি মুহূর্তে হতাহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

তুর্ক বলেন, গাজা উপত্যকার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে সেখানকার মানুষের পক্ষে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। এ ধরনের পরিস্থিত সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

গত শনিবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার পর গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও জ্বালানী সরবরাহের সবগুলো রুট বন্ধ করে দিয়েছে তেল আবিব। খবর- পার্সটুডের

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রাবিনা শ্যামদাসানি পৃথক বিবৃতিতে এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বা ইউএনএইচসিআর-এর নিজস্ব যেসব পর্যবেক্ষক রয়েছেন তাদের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন যে, ইসরাইলি হামলায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

একইসঙ্গে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার গাজা উপত্যকার ওপর কঠোর অবরোধের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজার বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি ও জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ইউনিসেফ ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করছে। গাজায় বসবাসকারী পরিবারগুলোর বিদ্যমান দুর্দশার সঙ্গে মরার উপর খাঁরার ঘা হিসেবে নতুন করে এই দুর্দশাগুলো যুক্ত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.