বন্যায় বিধ্বস্ত সিকিম, শঙ্কায় বাংলাদেশ

মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যা ও ধসে বিপর্যস্ত সিকিম। বুধবার ২৩ জন সেনা জওয়ান নিখোঁজ ছিলেন। তার মধ্যে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাকি ২২ জনের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে অন্ততপক্ষে ৮০ জন বেসামরিক সাধারণ মানুষও নিখোঁজ।

বুধবার ভোরে চুংথামে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। সেখানে লোনাক লেকের জল প্রবল বেগে এসে মেশে তিস্তার সঙ্গে। তিস্তার চকিত বন্যায় ভেসে যায় আশপাশের বাড়িঘর, মানুষজন।

সিকিম সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, পানির তোড়ে ১৪টা সেতু হয় ভেঙে গেছে বা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। তিস্তা ব্যারাজ স্টেজ ৩-এ কর্মরত অন্তত ১৪ জন শ্রমিক টানেলে আটকে আছেন। নির্মীয়মান একটা অংশও ভেসে গেছে। ১৪ জন বেসামরিক মানুষও মারা গেছেন। তিস্তার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গজলডোবা বাঁধ। তাই সেখান থেকে এখন প্রবল পরিমাণে পানি ছাড়া হচ্ছে। সেই পানি জলপাইগুড়িতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও বন্য়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পানি কমলেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে।

জলপাইগুড়ির সেবক ব্রিজের মাত্র চারফুট নিচ দিয়ে তিস্তা বইছে। তাই এখানে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের পাশে তিস্তা রেল ব্রিজের নিচেও পানিরস্তর অনেকটা বেড়ে গেছে। খুব ধীরে আসাম ও দিল্লির দিকে যাওয়া রাজধানী এক্সপ্রেস এই সেতুর উপর দিয়ে গেছে।

স্থানীয় মানুষরা জানিয়েছেন, তিস্তায় সমানে মরদেহ ভেসে আসছে। সেই সঙ্গে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, বাসন, পোশাক ভেসে আসছে। জলপাইগুড়িতে ২৮টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। তিস্তার দুই পার থেকে পাঁচ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই, আনন্দবাজার

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.