নির্বাচন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতে পারে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। অতীতেও যে হয়নি তা নয়। আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি।… আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বলা হয় নির্বাচনটা ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে, যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা আনতে পারবো।

রবিবার (১ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দু’দিনের আবাসিক এ কর্মশালায় অংশ নেন ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা।

সিইসি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের কারণে বর্তমান ইসির ওপর চাপ বেড়েছে। তাই কমিশনের দায়িত্বও বেড়েছে। এ সময় সব নির্বাচনী কর্মকর্তাকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভোট অনুষ্ঠানে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাবো সেখানে যেন আস্থার সংকট না থাকে। আমরা যারা নির্বাচন পরিচালনা করবো, নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা যারা আছেন আরপিও অনুযায়ী দায়িত্বটা ভালোভাবে নেবেন। কোনও প্রশ্নের উদ্রেক হলে, কথা বলো নিশ্চিত হয়ে নেবেন। দায়িত্বটা কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ইসি থেকেও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবো।

তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রচার করতে পারে।…বাজারে যে কথা আছে। আমাদের ওপর, সরকারের ওপর আস্থা নেই; নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। আমরা এই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে চাই, যে আগামীতে যে নির্বাচনটা হবে অবাধ এবং নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে, একই সঙ্গে স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা আমরা দেখাতে চাইবো মিডিয়া এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। এখন অনেক অপপ্রচার হয়। যেটাকে মিস ইনফরমেশন বলে। সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বানিয়ে প্রচার করা হতে পারে। সেগুলো কিন্তু কঠোভাবে প্রতিরোধ করা হবে। যাতে নির্বাচনে ঋণাত্মকভাবে প্রভাব না পড়ে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.