নিরাপদ ভ্রমণে মাথায় রাখবেন প্রাথমিক কিছু শর্তগুলি

প্রতিনিয়ত কর্মব্যস্ততার জেরে সকলেই একঘেয়ে হয়ে যায়। সেই একঘেয়েমি থেকে নিজের শরীর এবং মন ঝরঝরে করে তুলতে সবাই সুযোগ পেলেই ঘুরতে চলে যায়। ঘুরে-বেড়াতে কোনও উপলক্ষ লাগে না। হাতে কয়েক দিনের ছুটি পেলেই মন বেড়াতে যাওয়ার জন্য নেচে ওঠে। কেউ পাড়ি দেন পাহাড়ে কিংবা কারও পছন্দ জঙ্গল। অনেকেই আবার সমুদ্রপাড়ে কয়েক দিন কাটিয়ে আসতে চান। একঘেয়ে জীবন থেকে কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে এলে শরীর এবং মন ঝরঝরে হয়ে ওঠে। তবে এক বার গন্তব্যে পৌঁছে গেলে আর কোনও চিন্তা থাকে না। তবে বেশি দূরে গেলে অনেক সময় নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। একে অপরিচিত জায়গা, তার উপর সেখানকার মানুষজন, ভাষা, সংস্কৃতি সব কিছুই আলাদা। ফলে কোনও সমস্যা হলে বেড়ানোটাই মাটি হয়ে যাবে। বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ নিরাপদে উপভোগ করতে চাইলে কয়েকটি কাজ আগে থেকে সেরে রাখা জরুরি।

জায়গাটি সম্পর্কে ভাল করে জেনে নিন

যেখানে বেড়াতে যাবেন বলে ঠিক করেছেন, বাড়ি বসেই সেই জায়গা সম্পর্ক যতটা জানা সম্ভব জেনে নিন। সেখানকার রাস্তাঘাট, উল্লেখযোগ্য স্থান, থানা, হাসপাতাল সম্পর্কে জেনে রাখুন। দরকারে কাজে লেগে যেতেই পারে।

দরকারি কাগজপত্রের ফটোকপি সঙ্গে রাখুন

অফিসের আইডি কার্ড, ভোটার আইডি কার্ডের মতো অত্যন্ত জরুরি কাগজপত্রগুলির ফটোকপি করিয়ে সঙ্গে রাখুন। খুব দরকার না পড়লে আসলগুলি রাখার ঝুঁকি নেবেন না। কোনও ভাবে একটি কাগজ হারিয়ে গেলে ফিরে এসে বিপদে পড়বেন আপনিই।

পরিজনদের সব তথ্য দিয়ে যান

কোথায় যাচ্ছেন, কত দিন থাকছেন, কবে ফিরছেন এই প্রাথমিক তথ্যগুলি পরিজনদের সঙ্গে সকলেই ভাগ করে নেন। কিন্তু এগুলিই যথেষ্ট নয়। ট্রেন কিংবা বিমান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, বেড়াতে গিয়ে কোন হোটেলে থাকছেন এমন বেশ কিছু তথ্যও প্রিয়জনদের জানিয়ে রাখা ভাল।

হোটেলের ঘর নিরাপদ কি না যাচাই করুন

অনলাইনে হোটেল বুক করার সময়ে যতটুকু সম্ভব বিষয়টি নজরে রাখুন। বাকিটা হোটেলে পৌঁছেই যাচাই করতে হবে। রিসেপশনের ফোন নম্বরটি ফোনে সেভ করে রাখুন। যাতে যে কোনও দরকারে হোটেলকর্মীদের ডাকতে পারেন।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.