রিজার্ভ কমে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪ দিনের ব্যবধানে কমল ১৭৩ কোটি ডলার। এর ফলে রিজার্ভ কমে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ৫ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩১৮ কোটি ডলার। এরপর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধ করা হয়। জুলাই-আগস্ট সময়ের আমদানির বিলে ব্যয় তরা হয়। এছাড়া ডলার সংকটের কারণে বাজারে ডলার ছেড়ে ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ওই অর্থবছরে আমদানিতে খরচ হয় ৭ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার। তার আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানিতে খরচ হয়েছিল ৮ হাজার ৯১৬ কোটি ডলার। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যায় এবং ডলারের সংকট দেখা দেয়।

এরপর আমদানি কমাতে নানা শর্ত ও কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক বসায়। এরপর কমতে শুরু করে আমদানি ব্যয়।

এর আগে মে-জুন সময়ের জন্য ১১০ কোটি ডলারের আকু বিল পরিশোধ করা হয়েছিলো। এরপরের জুলাই-আগস্টে আমদানি কিছুটা বেশি হয়। এ দায়ের জন্য ৫ শতাংশের বেশি হারে সুদ পরিশোধ করতে হয়।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার-সংকট থাকায় জ্বালানি ও নিত্যপণ্য আমদানি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে।

রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ডলার। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ হাজার ৬৯৬ কোটি ডলার। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল রিজার্ভ।

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছিল।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.