আমেরিকা-ইরানের বন্দি বিনিময়

অবশেষে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে পাঁচজন করে বন্দি বিনিময় হলো। এ ছাড়া ইরান পেয়েছে ফ্রিজ করে রাখা ছয়শ কোটি ডলার। কাতারের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতা হয়েছে।

কাতার জানিয়েছে, তাদের ব্যাংকে ছয়শ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি) এসে গেছে। তারা ইরানকে এই অর্থ দিচ্ছে। এই অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে ছিল। সেখান থেকে তা কাতারের ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।

এটা হলো ইরানের তেল বিক্রির অর্থ। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তখনই ইরানের এই ছয়শ কোটি ডলার ফ্রিজ করে দেয়া হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ছয়শ কোটি ডলার ট্রান্সফার করে দেয়া হয়েছে।

ইরান পাঁচজন মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, পাঁচজন নিরপরাধ মার্কিন নাগরিককে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তারা অবশেষে বাড়ি ফিরছেন।

ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, অ্যামেরিকায় বন্দি দুইজন ইরানের নাগরিক তেহরান পৌঁছে গেছেন। বাকি তিনজনের মধ্যে দুইজন অ্যামেরিকায় থেকে যেতে চান। একজন কোনো অজানা জায়গায় তার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে চেয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় ও সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

বাইডেন বলেছেন, ইরান ওই অঞ্চলে উসকানিমূলক কাজ করে যাচ্ছে। তাই তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। বন্দি-মুক্তির জন্য বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার, সুইজারল্যান্ড এবং ওমানকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।

ইরানের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ছয়শ কোটি ডলার পেয়েছে। এখন এই অর্থ আবার সরকার ও জনগণের নিয়ন্ত্রণে এলো।

এই অর্থ ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকার শর্ত ছিল, ইরান তাদের দেশের মানুষের জন্য এই অর্থ খরচ করবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা জিনিসের উপর এই অর্থ খরচ করা যাবে না। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.