২৬৫ রানের পুঁজি নিয়ে যেমন শুরু প্রয়োজন ছিল ঠিক তেমনটাই করেন তানজিম হাসান সাকিব। নিজের প্রথম ওভারে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রোহিতকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন তরুণ এই পেসার। নিজের পরের ওভারে বোকা বানিয়েছেন তিলক ভার্মাকে। নতুন বলে রীতিমতো চমক দেখিয়েছেন তিনি। তার বিপক্ষে খেলা বেশিরভাগ ব্যাটারকেই ভুগতে হয়েছে। শুরুতে যেমন গতিময় বোলিং করেছেন শেষ দিকে তেমনি ব্যাক অব দ্য হ্যান্ডে স্লোয়ার ডেলিভারিতে ব্যাটারদের বোকা বানিয়েছেন।
ভারতের বিপক্ষে তানজিমের বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়েছেন অনিল কুম্বলে। এদিকে তানজিমকে পেস বোলিংয়ে ভবিষ্যত তারকা হিসেবে দেখছেন দীনেশ কার্তিক।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে কুম্বলে বলেন, ‘সে (তানজিম হাসান) দুর্দান্ত ছিল। আমার মনে হয় নতুন বলে খানিকটা গতিময় বোলিং করেছে, বেশ কয়েকটি ১৪০ কি.মি. এর চেয়ে বেশিও ছিল। সব ব্যাটারই তার বিপক্ষে ভুগেছে। নতুন বলে তার চেয়ে ভালো কেউ ছিল না। ডেথ ওভারেও সে ভালো করেছে, আমার মনে হয় খানিকটা চাপ ছিল কিন্তু সে ব্যাক অব দ্য হ্যান্ড স্লোয়ার বল করেছে। এটা খেলা একেবারে সহজ নয়।’
৭.৫ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়া তানজিমের প্রশংসা করেছেন কার্তিক। তানজিমের পাশাপাশি পেসার হাসান মাহমুদ ও স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানকে নিয়েও কথা বলেছেন। হাসান ও তানজিমকে নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ভারতের এই ক্রিকেটার।
ক্রিকবাজের সাথে আলাপকালে তানজিম বাংলাদেশের বোলিংয়ের ভবিষ্যত সুপারস্টার হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কার্তিক বলেন, ‘হ্যাঁ, দেখে মনে হচ্ছে এই বোলারের (তানজিম হাসান সাকিব) ভবিষ্যত আছে। শেখ মেহেদী এবং তানজিম উভয় অদূর ভবিষ্যতে দারুণভাবে ভূমিকা রাখবে। এই তালিকায় হাসান মাহমুদও আছে। সে একজন সলিড বোলার, সবশেষ ম্যাচা খেলেছে। তার মাঝে স্কিল আছে। বাংলাদেশের দুজন তরুণ বোলার আছে একজন নতুন বলে আরেকজন পুরাতন বলে খুবই ভালো। অদূর ভবিষ্যতে তাদের দিয়ে দুই জায়গাই পূরণ করতে পারবে। এখনকার কথা যদি বলি সেটা বিশ্বকাপ। তার জন্য ভালো পেস বোলিং এবং স্পিন অ্যাটাক আছে। এখন বাংলাদেশকে শুধু ব্যাটিংয়ে রান করতে হবে।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.