যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লোকসান ১০ হাজার কোটি ডলার

সুদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের লোকসান হয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার। সম্প্রতি ফেডারেল রিজার্ভ নিজেই এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ডে এবং আর্থিক খাতে সেবা দিয়ে যে পরিমাণ সুদ আয় করেছে তার চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। যদিও এটি কীভাবে কার্যকর হবে তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিছু পর্যবেক্ষক মনে করেন, ফেডের লোকসান আরও এক বছর আগে শুরু হয়েছিল। লোকসানের পরিমাণ কমানোর আগে যার পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে।

ফেডারেল রিজার্ভের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা উইলিয়াম ইংলিশ বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ২০ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে পূর্বাভাসকারী প্রতিষ্ঠান এলএইচ মেয়ারের ডেরেক ট্যাং বলেছেন, আগামী বছরের মধ্যেই ১৫ হাজার কোটি থেকে ২০ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, ফেডের জন্য অর্থ হারানো খুবই বিরল। কিন্তু একই সময়ে পরিস্থিতি কোনোভাবেই আর্থিক নীতি পরিচালনার এবং তার লক্ষ্য অর্জনের ক্ষমতাকে ব্যাহত করবে না বলে অনেকবার সতর্ক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নীতি সুদহার বৃদ্ধির ফল সর্বত্র ব্যাপক। এতে একদিকে বন্ডের সুদহার বদলে যায়, বস্তুত নীতি সুদহারের চেয়ে বন্ডের সুদহার কম থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের বন্ডের সুদহার পরিবর্তিত হলে সারা বিশ্বের আর্থিক বাজারেও তার প্রভাব পড়ে। সেই সঙ্গে দেশটির অভ্যন্তরীণ করপোরেট ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের ঋণের সুদহার বেড়ে যায়।

দেড় বছর আগে, অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নীতি সুদহার ছিল প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। কিন্তু গত বছর বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। এই মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বারবার নীতি সুদহার বাড়ায় ফেড। মূল্যস্ফীতির বিষয়ে ফেড খুবই কঠোর। মূল্যস্ফীতির হার প্রত্যাশামতো না কমা পর্যন্ত নীতি সুদহার বাড়াতে থাকে তারা।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.