কৃষি মার্কেটে আগুনে ২১৭ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: ডিএনসিসি

মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২১৭টি দোকান পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তবে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন এই সংখ্যা আরও বেশি। বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে মার্কেটে ৩৫০টি দোকান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।

সেলিম রেজা বলেন, ৩১৭টি দোকান বরাদ্দ ছিল, যার মধ্যে ২১৭টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবৈধ দোকানগুলো ফুটপাতে ছিল। আমাদের কর্মীরা নিরলসভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করার জন্য কাজ করছে। বিভিন্ন সংস্থা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসবে আশা করি। ডিএনসিসি সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়াবে। এ ঘটনা তদন্তে ডিএনসিসি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করবে। আর ফায়ার সার্ভিসও বলেছে, ভেতরে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এ ব্যাপারে আমাদের সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

বাজারের দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়ী কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্ত করে জানা যাবে কারা দায়ী ছিল। তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।’

রাজধানীতে নয়টি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের মধ্যে মোহাম্মদপুরে দুটি মার্কেট রয়েছে, যেখানে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এই মার্কেটটিতেও অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এই মার্কেটটি কেন তাহলে তালিকায় এলো না, এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম রেজা বলেন, ‘যেই কমিটি তখন কাজ করেছে সেসময় এই মার্কেটটি তালিকায় ঢোকেনি। উত্তর সিটি করপোরেশনের আটটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ভবন ও যেই মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেগুলো ম্যাজিস্ট্রেটকে আমরা বলে দিয়েছি ১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে। কোনো বাধা, কোনো কিছুর মুখেই আমরা আর থামব না। এই ভবনগুলোতে ব্যবসায়ী ও বসবাসকারী যারাই থাকুন তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দিয়ে ভবনগুলোকে সিলগালা করে দিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ভবনগুলোকে ফাঁকা করতে হবে। এই লক্ষ্যে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে দিয়েছি। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজগুলো সম্পন্ন করবেন।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.