‘অপরাজেয় তারা’ শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক

বাংলাদেশে নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার যুগোপযোগী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো শুধুমাত্র নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি ‘অপরাজেয়ো তারা’ চালু করেছে।

এটি একটি যুগান্তকারী কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা উদ্যোগ, যা নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে এবং তাদের স্বপ্নের শিখরে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।

এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা এই অনন্য শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক ৩০০ জনেরও বেশি নারী শিক্ষার্থীকে সাহায্য করছে, যাতে তারা সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে পারছে। ব্র্যাক ব্যাংক ২০১০ সাল থেকে নিজেদের শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ১,০০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে সহায়তার মাধ্যমে দেশের শিক্ষার উন্নয়নে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অপরাজেয় তারা’ শিক্ষাবৃত্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত ১০ আগস্ট ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে অনুষ্ঠিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর.এফ. হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ আবদুল মঈনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীরা সামাজিক নানান প্রতিবন্ধকতা এবং কুসংস্কার সত্ত্বেও তাদের উচ্চশিক্ষার অদম্য যাত্রায় মুখোমুখি হওয়া নানান গল্গ এবং নিজেদের চিন্তাভাবনা সকলের সামনে তুলে ধরেন।

গত ২৫ জুলাই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর এম. মাহবুব রহমান, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিওও মোঃ সাব্বির হোসেন, হেড অব কমিউনিকেশন্স ইকরাম কবীর এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবৃত্তি প্রসারের অংশ হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক আরও বেশি সংখ্যক নারী শিক্ষার্থীকে এই কর্মসূচির আওতায় আনার লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে একযোগে কাজ করে যাবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “বৃহত্তর ব্র্যাক পরিবারের অধীন একটি মূল্যবোধভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, নারী শিক্ষা এবং সমাজে নারী ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্র্যাক ব্যাংক।” তিনি আরও বলেন, “এই স্কলারশিপটিকে আমরা একটি সামাজিক বিনিয়োগ হিসাবে দেখছি, যা দীর্ঘমেয়াদে আমাদের দেশের উপকারে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা দৃঢ়ভাবে নারীদের স্বপ্ন, আকাঙ্খা এবং সম্ভাবনায় বিশ্বাস করি। এই শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে আমরা অসচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসা মেধাবী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করার মাধ্যমে একটি সুন্দর ও সম-অধিকার ভিত্তিক সমাজ গঠনে অবদান রাখার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।”

ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় সমাজে শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে, কারণ এটি বিশ্বাস করে যে, শিক্ষাই হচ্ছে সমাজে বৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের পূর্বশর্ত। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজের (জিএবিভি) একজন সদস্য হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সেসব সিএসআর উদ্যোগগুলো গ্রহণ করে, যা সমাজ এবং সমাজের মানুষের ওপর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। ব্যাংকের সামাজিক কর্মসূচিগুলো সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের উন্নয়নে কাজ করে।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.