ফ্রান্সের সঙ্গে ঋণচুক্তি ও সম্মতিপত্র স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে শহরে ‘শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি’ শীর্ষক ঋণচুক্তি এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) ও ফ্রান্সের এয়ার বাস ডিফেন্স অ্যান্ড এসএএস-এর মধ্যকার বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম এর সঙ্গে সহযোগিতার সম্মতিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) করোবি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর ও বিনিময় হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আমার সার্বিক বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। চলমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের স্বার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার এই নতুন কৌশলগত অগ্রযাত্রা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা উভয়েই আশাবাদী। বিগত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে চলমান সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, উন্নয়ন এবং সুশাসন এই নতুন সম্পর্কের মূলভিত্তি বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়ার আগে ম্যাঁখো সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে সকালে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখো এ সফরে আসেন। তার এই সফরের মধ্য দিয়ে ‘কিছু প্রকল্প কংক্রিটাইজ’ এবং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

১৯৯০ সালের ২০-২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফাঁসোয়া মিতেরা বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। এর পর দ্বিতীয়বারের মতো কোন ফরাসী প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে এলেন। যদিও বাংলাদেশে ম্যাঁখোর এটি প্রথম সফর। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক ১৯৯০ সালের শুরু থেকে এই পর্যন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে মোট বাণিজ্য ২১০ মিলিয়ন ইউরো থেকে আজ ৪.৯ বিলিয়ন ইউরোতে উন্নীত হয়েছে এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে ফ্রান্স পঞ্চমতম দেশ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.