নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশ নিক।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

‘জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। প্রতি শহর-গ্রামের এবং মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মুখে ডাল-ভাতের পরিবর্তে এখন মাংসের দাম বাড়লে সেটি নিয়ে কথা শোনা যায়। আগে মানুষ ইট বিছানো রাস্তার দাবি দিত, এখন কার্পেটিং করা রাস্তার দাবি দেয়। এখন মানুষ ভাত-কাপড়ের কথা বলে না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কথা বলে এবং আমাদের সরকার সেটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মানুষের জীবনমানের এই উত্তরণ ও পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে খেলে জিততে চাই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা তো আয়োজক পক্ষ নই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি কোনো অভাব বা অভিযোগ কিছু থাকে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। আর নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে আমরা সেখানে যাব।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নেই। ২০১৪ সালে আমরা তাদের মোকাবিলা করেছি। ২০১৪ সালের পরিস্থিতি বিএনপি আর কখনও সৃষ্টি করতে পারবে না। নির্বাচনে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক আমরা সেটিই চাই। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শ্লোগান দেওয়া হয়েছিল ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। অথচ ১৯৭০ সালে সেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তখন অনেক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে।”

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.