সম্প্রতি নাইজারে ক্ষমতা দখল করেছে দেশের সেনাবাহিনী। বিদ্রোহের পর গত ২৬ জুলাই দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল নাইজারের সেনা হুন্টা। আফ্রিকার দেশগুলির ব্লক তাদের উপর আক্রমণ চালাতে পারে এই আশঙ্কায় আকাশসীমা বন্ধ করা হয়েছিল।
সোমবার দেশটির সেনা সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক কমার্শিয়াল উড়ানের জন্য আকাশসীমা আবার খুলে দেয়া হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বিমান নাইজার বিমানবন্দরে নামতে পারবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।
২৬ জুলাই ক্ষমতা দখলের পর ২ অগাস্ট পর্যন্ত নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ ছিল। ২ অগাস্ট সাময়িক সময়ের জন্য আকাশসীমা খুললেও ফের তা ৬ অগাস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সময়েই পশ্চিম আফ্রিকার ব্লক ইকোয়াস নাইজারে সেনা পাঠানোর হুমকি দিয়েছিল। এরপর আর আকাশসীমা খোলা হয়নি।
আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ নাইজার। আয়তনে ফ্রান্সের দ্বিগুণ। ১২ লাখ ৭০ হাজার ব্রগ কিলোমিটার আয়তনের নাইজারের আকাশসীমা আফ্রিকা মহাদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ আফ্রিকার বিমান নাইজারের আকাশসীমা ব্যবহার করে। ইউরোপগামী ফ্লাইটগুলিকেও নাইজারের আকাশসীমা ব্যবহার করতে হয়। আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্ত বিমানকেই ঘুরপথে এতদিন যাতায়াত করতে হচ্ছিল।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পশ্চিম আফ্রিকার ব্লকের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে নতুন সেনা হুন্টা। তারপরেই আকাশসীমা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাইজারের বর্তমান সেনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘ইকোয়াসের সঙ্গে আমরা নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কখনোই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। আপাতত একটি সমঝোতাসূত্রেও পৌঁছানো গেছে।’ তবে ঠিক কী সমঝোতা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ইকোয়াসের সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নাইজারের সেনা হুন্টা জানিয়েছে, নয় মাসের মধ্যে তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আবার নাগরিক সরকারের হাতে তুলে দেবে। এই সমঝোতাতেই আপাতত সেখানে সেনা পাঠানো হচ্ছে না। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.