পুঁজিবাজার বিনিয়োগ-অনুকূল অবস্থানে আছেঃ হাসান রহমান

হাসান রহমান। দেশের একজন প্রতিশ্রুতিশীল সফল উদ্যোক্তা। তিনি দেশের অন্যতম শীর্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি বিএসইসি প্রবর্তিত স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এ সেরা অ্যাসেট ম্যানেজারের পুরস্কার পেয়েছে। অন্যদিকে বিএসইসি ক্যাপিটেকের ২০০ কোটি টাকার একটি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি, তালিকাভুক্তির পর যেটি হবে স্টক এক্সচেঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফান্ড। এই আইপিওকে সামনে রেখে মিউচুয়াল ফান্ড, ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ও পুঁজিবাজারের নানা দিক নিয়ে তিনি আলোকপাত করেছেন অর্থসূচককে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন অর্থসূচকের স্টাফ রিপোর্টার মাসুম রহমান ও মোঃ সুলাইমান।

অর্থসূচক: সম্প্রতি ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড বিএসইসি প্রবর্তিত স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এ সেরা অ্যাসেট ম্যানেজারের পুরস্কার পেয়েছে। এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে আপনার অনুভূতি কী?

হাসান রহমান: কোম্পানিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করলে ও ভালো লভ্যাংশ দিলে একটা সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকার প্রশংসা করবে। সেটা অনেক আনন্দের। এটা ভাল কিছু করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। বিএসইসির সুবণর্জয়ন্তী পুরস্কার প্রাপ্তির ফলে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমাদের টিম আরও বেশি নিষ্ঠার সাথে কাজ করবে, যাতে পুঁজিবাজারে আরও বেশী ভূমিকা রাখা যায়, বিনিয়োগকারীদের আরও ভাল রিটার্ন দেওয়া সম্ভব হয়।

ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপির কাছ থেকে বিএসইসি প্রবর্তিত সুবর্ণজয়ন্তী অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এর সেরা অ্যাসেট ম্যানেজারের পুরস্কার নিচ্ছেন ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চৈযারম্যান হাসান রহমান

অর্থসূচক: ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বর্তমানে কয়টি ফান্ড পরিচালনা করছে। এগুলোর পারফরম্যান্স সম্পর্কে যদি একটু বলতেন।

হাসান রহমান: আমরা তিনটি ফান্ড পরিচালনা করছি- ক্যাপিটেক পদ্মা পি.এফ. শরিয়াহ ইউনিট ফান্ড, ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড এবং ক্যাপিটেক-আইবিবিএল শরিয়াহ ইউনিট ফান্ড। প্রতিটি ফান্ডেই আমরা নিয়মিত ভাল লভ্যাংশ দিয়ে আসছি। ক্যাপিটেক পদ্মা ইউনিট ফান্ডে ২০২২ বছরের জন্য ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছি। ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ডে ২০২১ ও ২০২২ সালে ১৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধজনিত পরিস্থিতির কারণে এবছর বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজার সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে অধিকাংশ ফান্ড তেমন ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি। তা সত্ত্বেও আমরা সাড়ে ৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছি। আর আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডে ২০২১ ও ২০২২ সালে ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছি। এটি ডিসেম্বর ক্লোজিং ফান্ড। তাই এ বছরের লভ্যাংশ আগামী বছরের শুরুর দিকে ঘোষণা করা হবে।

অর্থসূচক: আপনার প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব কী? ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সাফল্যের নেপথ্যে কী কী বিষয় ভূমিকা রাখছে।

হাসান রহমান: ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সাফল্যের মূলমন্ত্র হচ্ছে পেশাদারিত্ব। আমরা মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালাসহ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সংশ্লিষ্ট সব বিধিমালা মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করি। বিনিয়োগ তথা শেয়ার কেনাবেচার যে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি রিসার্চ টিমের সুপারিশের আলোকে। আর সব কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। কোনো শর্টকার্ট উপায়ে নয়, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা সফল হতে চাই। এতে সবসময় ফল যে আমাদের পক্ষে আসে, তা নয়। তবু  আমরা হতাশ হই না। আগামী দিনেও কাজের এই ধারা বজায় থাকবে।

অর্থসূচক: পুঁজিবাজারে বিদ্যমান ধীরগতির মধ্যেও বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ড ভাল পারফর্ম করছে। তবু এই খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তত বেশি দেখা যাচ্ছে না। এর কারণ কী বলে মনে করেন?

হাসান রহমান: মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ভাল পারফরম্যান্সের পরও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকার কারণ হচ্ছে নেতিবাচক ধারণা। অনেক বিনিয়োগকারী ফান্ডগুলোর পারফরম্যান্স সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। আবার বিচ্ছিন্নভাবে ঘটে যাওয়া দুয়েকটি ঘটনাও নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে। এখান থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে ব্যাপক প্রচার। বিনিয়োগকারীসহ দেশের মানুষের কাছে ফান্ডগুলোর পারফরম্যান্সের তথ্য তুলে ধরতে হবে।

ব্যক্তি পর্যায় থেকে কাজটি শুরু করতে হবে। তবে এখানে অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের টিভি চ্যানেলগুলো খুললেই দেখা যায় যে, মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে তারা সারাক্ষণ বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনগুলো অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। তাই আমাদের দেশেও অ্যাসোসিয়েশনের এ ধরনের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ আছে।

অর্থসূচক: মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পের বিকাশে কী কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে?

হাসান রহমান: মিউচুয়াল ফান্ড শিল্পের বিকাশে বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করার উপয় খুঁজে বের করতে হবে। ইন্ডিয়াতে ছোট দোকানেও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট বিক্রি হতে দেখা যায়। আমাদের এখানে ইউনিট বিক্রি বা কেনার প্রক্রিয়া এমন সহজ নয়। নানা কারণে রেগুলেটরও ইউনিট বিক্রি প্রক্রিয়াকে ফ্রেন্ডলি করে দেওয়ার আস্থা পাচ্ছে না। এ জায়গায় অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলো ও অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিউচুয়াল ফান্ডে স্বচ্ছতা ও কমপ্ল্যায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পায়। তখন রেগুলেটরও সাহস পাবে ইউনিট বিক্রির প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে দেওয়ার।

অর্থসূচক: সম্প্রতি বিএসইসি আপনাদের আরও একটি মিউচুয়াল ফান্ডের প্রসপেক্টাস অনুমোদন করেছে। আপনাদের ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড নামের এই ফান্ডটি সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন?

হাসান রহমান: ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড একটি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড, যার আকার ২০০ কোটি টাকা। এই ফান্ডের ইউনিট স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হবে। ফান্ডটির উদ্যোক্তা গ্রামীণ ব্যাংক। আর এর ট্রাস্টি ও কাস্টোডিয়ানের দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রীয়মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

এই ফান্ডের স্পন্সর গ্রামীণ ব্যাংক ইতোমধ্যে ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বাকী ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবো। আগামী কিছুদিনের মধ্যে এর সাবস্ক্রিপশন শুরু হবে। অনেকেই আমাদের এই ফান্ডে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। বেশ কিছু কমিটমেন্টও পেয়েছি আমরা।

ঘটনাচক্রে বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী একটা সময়ে এই ফান্ডটি বাজারে আসছে। বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বিনিয়োগ-অনুকূল অবস্থায় আছে। আমি মনে করি, এখনই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সময়। আমরা এই সুযোগটিকে কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমরা আশা করি, আমাদের অন্য ফান্ডগুলোর মতো ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডেও বিনিয়োগকারীদেরকে ভালো রিটার্ন দিতে পারব।

অর্থসূচক: কিছুদিনের মধ্যেই ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের আইপিওর চাঁদা ও আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। এই ফান্ডের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের প্রতি আপনার কিছু বলার আছে কী?

হাসান রহমান: মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছু নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। তবে সবাইকে এক পাল্লায় মাপা ভুল হবে। ব্যাংক খাতেও বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান আছে। অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্টের সবাই যে একরকম হবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এই খাতে অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আমরা কমপ্ল্যায়েন্স নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। তাই রেগুলেটর আমাদের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার দিয়েছে। এছাড়া আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো লভ্যাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এমনকি করোনা অতিমারি এবং রশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সংকটকালীন পরিস্থিতিতেও এই ধারা বজায় রয়েছে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে সব কাজ করার চেষ্টা করছি আমরা। আমাদের ম্যানেজমেন্টের টিম দেখলেই সেটি বোঝা যায়। এসব  বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগকারীরা ফান্ডটিতে বিনিয়োগ করবেন বলে আশা করি।

বেশিরভাগ শেয়ারের দাম এখন বিনিয়োগ-অনুকূল অবস্থানে আছে। তাই দেখে-শুনে একটু দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা গেলে ভবিষ্যতে ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক

আমি সম্মানিত বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আমাদের উপর আস্থা রাখুন, আমরা এ আস্থার মর্যাদা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

অর্থসূচক: দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন যদি একটু শেয়ার করতেন।

হাসান রহমান: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা তিন থেকে চার দিনের জন্য বাজারে আসে। তাদের চিন্তা থাকে চারদিনের মাথায় লাভ করে বের হয়ে যাওয়ার। এসব চিন্তাভাবনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। পুঁজিবাজারকে অন্যান্য সঞ্চয় উপকরণের বিকল্প হিসেবে দেখতে হবে।

পুঁজিবাজারে ঢুকতে হলে বুঝে-শুনে আসা দরকার। স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সম্পর্কে বুঝতে হবে। একটি কোম্পানির অতীত রেকর্ড, বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে এর শেয়ারে বিনিয়োগ করা বা না করার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এসবে ঘাটতি থাকলে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত ভুল হতে থাকবে। আর এই ক্ষতির জন্যে হয়তো রেগুলেটরসহ অন্যদের দোষারোপ করতে থাকবো।

মনে রাখতে হবে, কেউ আপনাকে জোর করে কেনাচ্ছে না। আপনি নিজেই কিনেন। আর লাভ হলে আপনিই তা ভোগ করেন। তাই শেয়ারে লস হলে সেটাও আপনাকেই মেনে নিতে হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে লাভ করা ও লোকসান হলে অন্যদের উপর দোষ চাপানের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসাটা অত্যন্ত জরুরী।

যদি কারো পুঁজিবাজার সম্পর্কে বুঝাপড়া কম থাকে, বিভিন্ন কোম্পানি ও অর্থনীতির নানা বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার সুযোগ থাকে সীমিত- তাহলে এই বাজারে সরাসরি শেয়ার কেনাবেচা না করাই ভাল। এ ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত। অ্যাসেট ম্যানেজাররা অনেক পেশাদারিত্বের সাথে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান সাহেবের নেতৃত্বে কমিশনের সবাই অনেক ভালো কাজ করছেন। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দেশের ব্র্যান্ডিং করছেন। এতে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী উৎসাহী হয়েছে। এর ফল যখন আসতে শুরু করবে, তখন এই বাজারের গতি অনেক বেড়ে যাবে। বিশ্বের কোনো পুঁজিবাজার বর্তমানে ভালো নেই। এটা বাংলাদেশের একক সমস্যা না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সাপ্লাই চেইনে বড় ঝামেলা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। এর কিছুটা প্রভাব আমাদের পুঁজিবাজারেও আছে। এতে করে কিন্তু বিনিয়োগের ভাল সুযোগও তৈরি হয়েছে। বেশিরভাগ শেয়ারের দাম এখন বিনিয়োগ-অনুকূল অবস্থানে আছে। তাই দেখে-শুনে একটু দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা গেলে ভবিষ্যতে ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.