‘পেনশন স্কিমের অর্থ সরকারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করা হবে’

সরকার পরিবর্তন কিংবা বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হলেও সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আস্থা হারানোর সুযোগ নেই। জনগণের দেওয়া অর্থ সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে লাভজনক খাতে বিনিয়োগের জন্য সর্বজনীন পেনশন তহবিল ব্যবস্থাপনা নামে আলাদা একটি বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এর আওতায় তহবিলের অর্থ প্রাথমিকভাবে সরকারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জনগণের টাকা যেকোনো পরিস্থিতিতে আইন দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে। এ তহবিলের অর্থ কোনোভাবেই খোয়া যাবে না। তহবিল ব্যবস্থাপনার আওতায় তহবিলের অর্থ প্রাথমিকভাবে সরকারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করা হবে। এরপর তহবিল বড় হলে পদ্মা সেতুর মতো বড় অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনাও রয়েছে।

কবিরুল ইজদানী খান বলেন, অন্যান্য পেনশনের মতো এটা না। এর সঙ্গে অন্যান্য পেনশনকে মেলানো যাবে না। এখানে ব্যাংকের মতো গ্রাহক টাকা রাখবেন, তার হিসাবে জমা হবে। এখানে কোনো মানুষের হাত থাকবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে লেনদেন চলবে। ব্যক্তি তার হিসাব এক বছর পর পর দেখতে পারবেন, যে কতো টাকা লাভসহ জমা হলো। ৬০ বছর মেয়াদ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আসলসহ মুনাফা পেতে থাকবেন। তিনি না বেচে না থাকলে তার নমিনি পাবেন।

তিনি বলেন, আমরা কোনো টাকা অপচয় করবো না। সব টাকা বিনিয়োগ করা হবে, কেনা হবে ট্রেজারি বিল ও টেজারি বন্ড। এখানে লাভ থেকেই লাভ দেওয়া হবে। মেয়াদ শেষে যে টাকা ব্যক্তি পাবেন সেখানে কোনো কর আরোপ করা হবে না। ভারত-শ্রীলঙ্কায় কর থাকলেও আমাদের এখানে হবে কর মুক্ত।

আলোচনায় এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম জনমানুষকে টেকসই সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তি করার কার্যকরী উদ্যোগ। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। সব মানুষের জন্য ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’, ‘সমতা’ এবং ‘প্রবাসী’ নামে ৪টি প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ‘সমতা’ স্কিমের আওতায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ শতাংশ চাঁদা সহায়তা ইতিবাচক দিক।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.