ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং’র অগ্রযাত্রার চার দশক’ শীর্ষক এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ। আরও বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, জে. কিউ. এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মোঃ আলতাফ হুসাইন। আইবিটিআরএ’র প্রিন্সিপাল মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ, জোন ও শাখাপ্রধানসহ সকল স্তরের নির্বাহীবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের সর্ববৃহৎ ও শক্তিশালী ব্যাংক। এ ব্যাংক গ্রাহকদের প্রয়োজন ও চাহিদার দিক লক্ষ্য রেখে বিনিয়োগ প্রকল্পসমূহ প্রণয়ন করেছে। শিল্প, সেবা, কৃষি ও অন্যান্য প্রকল্পসহ উৎপাদনমুখী খাতসমূহকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ প্রদান করে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে। তিনি ব্যাংকের কৃষি বিনিয়োগ, পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প, নগর দারিদ্র্য উন্নয়ন প্রকল্পসহ ২৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উৎপাদনমুখী বিনিয়োগ কার্যক্রম জোরদার করার জন্য শাখা প্রধানদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত চার দশকে ইসলামী ব্যাংক দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকে পরিণত হয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই এখন ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ের আওতাধীন। পূর্ণাঙ্গ ধারার ১০টি ইসলামী ব্যাংকের পাশাপাশি প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোও যুক্ত হচ্ছে শরী’আহভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রমে। বিশেষায়িত শাখা ও উইন্ডোর মাধ্যমে চালাচ্ছে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম। তিনি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে গ্রাহকদের সেবা প্রদান, সময়োপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নিবেদিত হয়ে সকলকে কাজ করার অহবান জানান।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.