আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে

মাত্র দেড় মাসের মাথায় আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

বুধবার (৯ আগস্ট) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।’

এর আগে রাত ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। এদিন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকেল ৬টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপারসন।

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে গত ১০ জুন দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। প্রায় দুই সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক দেড় মাস পর আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।

‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- এ দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ে তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত মার্চ মাসে শর্ত অপরিবর্তিত রেখে আরও এক দফা তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সায় দেয় সরকার।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে গুলশানে তার বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।

ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.