ইমরান খানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এতে ইমরান খান ২০২৮ সাল পর্যন্ত এমপি হিসেবে থাকতে পারবেন না এবং সরকারি দায়িত্বও পালন করতে পারবেন না। বিবিসির খবর।

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে ইসলামাবাদ আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

ইসিপি জানায়, পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৩ অনুচ্ছেদের ১-এইচ ধারা এবং ২০১৭ সালের নির্বাচন আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হলো। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরানের সরকার। এর পর থেকে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসা ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা হয়েছে।

ইমরানের বিরুদ্ধে তোশাখানার মামলাটি করেছিল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়।

আদালতের রায়ে বলা হয়, ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন কমিশনে (তোশাখানা উপহারের) মিথ্যা বিবরণ দিয়েছেন। আদালত তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ রুপি জরিমানাও করেন।

রায়ের পর ইমরানকে সেদিনই লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে পাঞ্জাব পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এদিকে মঙ্গলবার ইমরান নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি পিটিশন দাখিল করেন। বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরির ২ সদস্যের বেঞ্চে পিটিশনটি গ্রহণ করা হবে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.