সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর এই প্রথমবারের মতো ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বস্ত্রখাতের সিএনএ টেক্সটাইল লিমিটেড। কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০২২ অর্থবছরের জন্য ০ দশমিক ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে সিএনএ টেক্সটাইলের একীভূত করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা যায়, সিএনএ টেক্সটাইলের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন কোম্পানিটিকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর থেকে টানা ৬ বছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুমতি দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় সিএনএ টেক্সটাইল তাদের ফ্যাক্টরী প্রাঙ্গণ, বিসিআইসি শিল্প এলাকা, কালুরঘাট, চট্টগ্রামে আগামী ৮ আগস্ট দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এজিএম করার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে ২০১৬-২০১৭, ২০১৭-২০১৮,২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য নো ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া দীর্ঘদিন কোম্পানির ফ্যাক্টরীতে পড়ে থাকা স্ক্র্যাপ বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ০.৪% ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ্য, ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে সিএনএ টেক্সটাইলের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.১০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫.০৭ টাকা।

কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণের সর্বমোট সুদ ২৮ কোটি ৬৮ লাখ ২৫ হাজার ১৩৬ টাকা মওকুফ পেয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঋণের সুদ বাবদ ১৫ কোটি ১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা মওকুফ হয়েছে পেয়েছে যা কোম্পানির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া বাকি ১৩ কোটি ৬৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৬ টাকা ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ঋণের সুদ মওকুফ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পুরোদমে উৎপাদনে যাওয়ার জন্য যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে সিএনএ টেক্সটাইল। ইতিমধ্যে কোম্পানির গার্মেন্টস ইউনিটের জন্য ৫৭৯ জন এবং টেক্সটাইল ইউনিটের জন্য ২০০ জন স্ট্যাফসহ মোট ৭৭৯ জন লোকবল নিয়োগ দিয়েছে। এদিকে ‍পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএনএ টেক্সটাইলের পর্ষদ। কোম্পানির পাওনাদার ব্যাংক, অন্যান্য পাওনাদার, শেয়ারহোল্ডার, অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সম্মতি এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের অনুমোদন পাওয়ার পর এ সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।

 

অর্থসূচক/এমআর8

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.