হার দিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপ শুরু সৌম্যদের

ম্যাচ জিততে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে টপকাতে হতো পাহাড়সম লক্ষ্য। তাতে শুরুটাও ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার নাইম শেখ ও তানজিদ হাসান। তবে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তানজিদ বিদায় নিলে, দলের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যান আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান সাইফ হাসান। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না বাংলাদেশের। বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ইমার্জিং এশিয়া কাপের শুরুটা হতাশা দিয়েই শুরু হলো টাইগারদের।

৩৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন তানজিদ। সঙ্গী নাইম শেখ দেখে শুনে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করেন। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে দলীয় রান ছিল ৭০ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু দশম ওভারের শেষ বলে শাহান আরাচিগনের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন নাইম। তানজিদ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও তিনিও থামেন পরের ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। ৩৯ বলে ৫১ রানে তানজিদ ফিরলেও জাকির হাসানকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন সাইফ। লঙ্কান বোলারদের চার-ছক্কা হাঁকিয়ে দ্রুত রান তুলে বাংলাদেশকে দেড়শোর ঘরে নিয়ে যান দুজন।

সেখান থেকে দলের রান আরও বাড়াতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন জাকির। ২৪ বলে ২৬ রান করে জাকির ফেরার পর স্কোরবোর্ডে আরও ১০ রান যোগ করতেই ফেরেন সাইফও। ৪৬ বলে ৫৩ রানে থামে বাংলাদেশ অধিনায়কের ইনিংস। সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে এরপর মাহমুদুল হাসান। দলীয় রান দুইশোর ঘরে যাওয়ার আগে অবশ্য বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন দুশান হেমান্থ। জোড়া আঘাতে ফিরিয়ে দেন মাহমুদুল ও আকবর আলীকে। সেখান থেকে সৌম্যকে নিয়ে শেখ মেহেদি লড়াই করলেও ৩০ বলে ৩১ রান করে ফেরেন মাহেদি।

দলীয় রান আড়াইশো হওয়ার আগে সৌম্য ফিরে গেলে বাংলাদেশের পরাজয় তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর শেষের দিকে রাকিবুল হাসান বাকিদের নিয়ে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত রাকিবুল ৩৬ বলে ৪০ রানে ফিরে গেলে ৪৮.৩ ওভারে ৩০১ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

এদিন কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫১ রান তোলে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল। ওপেনার লাসিথ ক্রসপুলে ২৮ বলে ৩১ রান করে ফিরে যান। এরপর তিনে নামা মিনোদ ভানুকাকে নিয়ে ১২৬ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন আভিস্কা ফার্নান্দো।

মিনোদ ৫৫ বলে ৫৭ রান করে বিদায় নিলে পাঁচে নামা পাসিন্দু সোরিয়াবান্দারার সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি হয় আভিস্কার। সোরিয়াবান্দারা ফিরে যান ৩২ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৩ রান করে। তাদের সঙ্গে দুর্দান্ত সব জুটি গড়া ওপেনার আভিস্কা পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হন। তার ব্যাট থেকে আসে ১২৪ বলে ১৩৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তিনি ১৩টি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা হাঁকান। এরপর শেষ দিকে আশেন বান্দারা ২৫ বলে ৩৫ এবং অধিনায়ক দুনিথ ওয়েল্লালাগে ১৯ বলে ৩১ রান করলে সংগ্রহ ফুলে ফেঁপে ওঠে অনূর্ধ্ব-২৩ ফরম্যাটে হওয়া শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের।

বাংলাদেশের হয়ে পেসার রিপন মন্ডল ও সৌম্য সরকার তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে রিপন ১০ ওভারে খরচা করেন ৭১ রান। পার্ট টাইম স্লোয়ার মিডিয়াম পেসার সৌম্য ৫ ওভারে দেন ৫২ রান। বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল ১০ ওভারে ৬২ রান দিয়ে একটি ও ডানহাতি স্পিনার মেহেদি ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.