মার্কিন প্রতিনিধি দল কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আসেননি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মার্কিন প্রতিনিধি দল কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসেননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এ কথা জানান।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রতিনিধি দলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো নিয়ে কোনো প্রসঙ্গ আসেনি, কোনো আলোচনাই হয়নি। তারা এতটুকু বলেছেন যে, তারা কোনো পার্টিকে এনকারেজ (উৎসাহিত) করার জন্য এখানে আসেননি। তারা কোনো দলকে সাপোর্ট করেন না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যাতে একটি অবাধ সুষ্ঠু, সহিংসতামুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়- এর বাইরে তারা কিছুই চান না। তারা বারবার বলে গেছেন কোনো দল বা ব্যক্তিকে তারা সমর্থন করার জন্য এখানে আসেননি।’

‘তারা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আসেনি বলেও আমাদের জানিয়েছেন। তারা কারও প্রতি বিরাগভাজন হয়ে এখানে আসেননি। তারা চাচ্ছেন বাংলাদেশের যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে, সেটিই স্মুথলি যাতে চলতে থাকে। তারা যে ভিসা রেস্ট্রিকশন দিয়েছেন, সেটা সবার জন্য সেটা কোনো দলকে উদ্দেশ্য করে দেয়নি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে সেটি তারা আমাদের জানিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে গেছেন, এ সবকিছু নিয়ে তারা সন্তুষ্ট, সেটা তারা আমাদের কাছে বলে গেছেন। আমাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশ যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় তারা খুশি।’

মার্কিন প্রতিনিধি দল গতকালের দু-দলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রশংসা করেছেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাপ হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সমস্যার কত দ্রুত সমাধান হবে সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে মানবপাচারকারীরা যে খেলাধুলা করছে, সেটা যাতে না করতে পারে তা নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা বলেছি মানবপাচাররোধে আমরা টায়ার থ্রি থেকে টায়ার-টুতে চলে এসেছি। এটা তাদেরই মূল্যায়ন, সেটাকেও তারা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের জন্য মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলেছেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের জন্য আমরা সবসময় তোমাদের পাশে আছি।’

আগামী নির্বাচন যেন অবাধ সুষ্ঠু এবং ভায়োলেন্স ফ্রি হয়, সেটা তারা দেখতে চান। আমরা বলেছি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সময় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবেই তারা কাজ করবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি আছে।’

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলার বিশেষ কিছু বাহিনীকে তারা যে প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র দিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করেছে সেটাও আমি তাদের মনে করিয়ে দিয়েছি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.