ইংল্যান্ডের দরকার ২২৪

বৃষ্টিতে ভেসে যায় হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম দুই সেশন। শেষ সেশনে বল হাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। ট্রাভিস হেডের ৭৭ রানের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অবশ্য স্বাগতিকদের ২৫১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই ছুঁড়ে দেয়। রান তাড়ার মিশনে নেমে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ২৭ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। ম্যাচটি জিততে তাদের দরকার আরও ২২৪ রান। হাতে আছে দশটি উইকেট। এই মাঠে সবশেষ চার টেস্টেই চারটিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড।

২০১৯ সালের অ্যাশেজেও এই মাঠে ৩৫৯ রান তাড়া করে জিতেছে ইংলিশরা। বেন স্টোকসের সেঞ্চুরি ও জ্যাক লিচের সঙ্গে শেষ উইকেট তার জুটিতে সেদিন এক উইকেটের জয় পায় ইংল্যান্ড। কাকতালীয়ভাবে এবার সিরিজে ফেরার মিশনে সেই হেডিংলিতেই খেলছে স্বাগতিকরা।

প্রথম দুই সেশন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয় একদম শেষ ভাগে। অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং শুরু করে চার উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে। এরপর অবশ্য এক ওভার হয়েই আবার বৃষ্টির হয়, ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। কিছুক্ষণ পরই আবার খেলা শুরু হয়। দিনের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ফিরে যান আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মিচেল মার্শ (২৮)। ক্রিস ওকসের বাড়তি বাউন্সের ডেলিভারিটি তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল জমা হয় উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।

অ্যালেক্স ক্যারিও বিদায় নেন দ্রুত। তাকেও ফেরান ওকস। বল ছেড়ে দেয়ার চেষ্টায় স্টাম্পে টেনে আনেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তারপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। পরপর দুই ওভারে তাদের বিদায় করেন মার্ক উড। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন এক প্রান্ত আগলে রাখা হেড। স্পিনার টড মার্ফিকে নিয়ে নবম উইকেটে ৩৮ এবং স্কট বোল্যান্ডের সঙ্গে শেষ উইকেট জুতিতে ১৩ রান তোলেন তিনি। দলের লিড চলে যায় আড়াইশতে।

শেষদিকে মার্ফি এবং হেডকে বিদায় করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ইনিংসে ৪৫ রানে তিন উইকেট নেন তিনি। ওকসও নেন তিন উইকেট। রান তাড়ায় করতে নেমে দিনের শেষ পাঁচ ওভারে কোনো বিপত্তি ঘটতে দেননি বেন ডাকেট এবং জ্যাক ক্রলি। ডাকেট ১৮ ও ক্রলি ৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করবেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.