দুই সিটিতে আ.লীগের জয়

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও রাজশাহীতে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (২১ জুন) রাতে ভোট গণনা শেষে দুই সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, ১৫৫ কেন্দ্রের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। তবে, আগে থেকেই ভোট বর্জন করেছেন এই মেয়র প্রার্থী। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট লতিফ আনোয়ার। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭১০ ভোট। আর ১০ হাজার ২৭২ ভোট পেয়ে সর্বশেষ ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন।

অন্যদিকে, সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, ১৯০ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলে ভোটগ্রহণ। রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ ভোটার। নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। আর ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

অন্যদিকে সিলেট সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন। আর ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের। নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির জরিহুল আলম, স্বতন্ত্র আব্দুল হানিফ, ছালাহ উদ্দিন রিমন, শাহ জাহান মিয়া এবং মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.