অতিরিক্ত তারল্য জমা রাখলে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ পাবে ব্যাংকগুলো

দেশের ব্যাংকগুলোর কাছে অতিরিক্ত তারল্য থাকলে সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে পারবে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে।

রোববার (১৮ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস)’ প্রকাশ করেছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এ দিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ মুদ্রানীতিতে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।

নতুন মুদ্রানীতিতে বলা হয়, আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এ সুদহার মোটামুটি বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। সুতরাং আগের বেঁধে দেওয়া ৯ শতাংশ সুদ হার ১ জুলাই থেকে আর থাকবে না। এছাড়া ডিসকাউন্ট রেটে ব্যাংকগুলোর কাছে আর কোন ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে নতুন মুদ্রানীতিতে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র আবুল বশরসহ গবেষণা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হ‌য়ে‌ছে।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। তবে এবার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে এই মুদ্রানীতি বছরে দুইবার ঘোষণার রেওয়াজ ছিল। কিন্তু সাবেক গভর্নর ফজলে কবির সেই রেওয়াজ ভেঙে বছরে একবার করতে শুরু করেছিলেন। তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ফের বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.