পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত, ২৫ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানে প্রবল বর্ষণে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মূলত দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে ঘরবাড়ি ধসে পড়ার পর এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় দেড়শো মানুষ।

রোববার (১১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বর্ষণে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে এবং অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে দেশটির সিনিয়র উদ্ধার কর্মকর্তা খাতের আহমেদ জানিয়েছেন।

এছাড়া উপড়ে পড়া গাছ বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন টাওয়ারে ভেঙে পড়াসহ বৃষ্টি সংক্রান্ত নানা ঘটনায় আরও ১৪৫ জন আহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা আহতদের জরুরি ত্রাণ প্রদানের জন্য কাজ করছেন বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত মাসে গ্রীষ্মকালীন অস্বাভাবিক তুষারপাতের সময় তুষারধসে প্রায় এক ডজন লোক নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শনিবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে আরব সাগর থেকে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় করাচি উপকূলে এগিয়ে আসায় শেহবাজ শরিফ কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ৯৩ মাইল) বেগে বাতাসের গতিবেগসহ ‘গুরুতর এবং তীব্র’ এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আসছে।

এর আগে গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। ভয়াবহ সেই বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কমপক্ষে ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ৬৪৭ জন শিশুও ছিল।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন শুরু করেছে পাকিস্তান। এর অংশ হিসেবে দেশটির বন্দরনগরী করাচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। করাচির সব সমুদ্র সৈকতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ ও বিচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ করাচি থেকে ৯১০ কিলোমিটার, দক্ষিণ ঠাট্টা থেকে ৮৯০ কিলোমিটার এবং ওরমারা থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে এটি ঘূর্ণিঝড়টিকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে শনিবারের সতর্ক বার্তায় জানানো হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.