ইরানি শেয়ারবাজারে বেড়েছে লেনদেন

ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়ক উন্মোচন করার পর দেশটির শেয়ার বাজারে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে এবং লেনদেন বেড়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ইরানের শেয়ারবাজারে বৈদেশিক মুদ্রার দাম কমেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধনের ঘটনা শেয়ার বাজারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়িয়ে তুলেছে।

শেয়ার বাজারের প্রধান সূচক গতকাল প্রায় ০.৫ ভাগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.২৮৯ মিলিয়ন পয়েন্টে। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থের এবং প্রায় এক হাজার কোটি শেয়ার হাত বদল হয়েছে।

ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ইসনা জানিয়েছে, গতকাল ফাত্তাহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধনের পর দেশের শেয়ার বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে সমস্ত ব্যবসায়ী ইরানের ওপর আঞ্চলিক অথবা আন্তর্জাতিক শক্তির পক্ষ থেকে আগ্রাসন চাপিয়ে দেয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাদের মধ্যে ফাত্তাহ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। গতকাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের আগে প্রতি ডলারের বিপরীতে ৫১ হাজার ২০০ তুমান বা ৫ লাখ ১২ হাজার রিয়াল বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের পর প্রতি ডলারের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছিল ৫০ হাজার ৯০০ তুমান বা পাঁচ লাখ ৯ হাজার রিয়াল।

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের পাশাপাশি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে ইরানের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক কিছু তৎপরতা দেশের মানুষের মধ্যে বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মাঝে আস্থা জোরালো করেছে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্বোধনের দিনই ইরান সৌদি আরবে নতুন করে দূতাবাস চালু করেছে। এর একদিন আগে ইরান ঘোষণা করে যে, শিগগিরই সৌদি আরব, বাহারাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত এবং ইরাককে নিয়ে একটি আঞ্চলিক যৌথ নৌবাহিনী গড়ে তোলা হবে যারা পারস্য উপসাগরীয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.