চীন-পাকিস্তান বিশ্বস্ত বন্ধু হতে পারে না, আমেরিকাকে ভারত

যৌথভাবে ফাইটার জেটের ইঞ্জিন তৈরি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাল ভারত এবং আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এখন ভারত সফর করছেন। সোমবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে অস্টিনের বৈঠক হয়। সেখানেই এই বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। মোদীর মার্কিন সফরের সময় এই বিষয় চুক্তি হবে।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন জেনারেল ইলেকট্রিকস (জিই)-কে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন বানাবার অনুমতি দিচ্ছে। হোয়াইট হাউস গত জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, তারা ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে এই ইঞ্জিন বানানোর আবেদন পেয়েছে।

গত বেশ কয়েক দশক ধরে অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে ভারত খুব বেশি করে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ভারতে অস্ত্র বিক্রি করা নিয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলি। জার্মানি ভারতকে সাবমেরিন দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। আমেরিকা ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরিতে রাজি হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলি চাইছে, রাশিয়ার প্রতি তাদের অস্ত্র-নির্ভরতা কম করুক ভারত।

এই পরিস্থিতিতে অস্টিন-রাজনাথ বৈঠক ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্য প্রিন্ট জানাচ্ছে, হাইপারসনিক অস্ত্র, আন্ডারওয়াটার ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস(ইউডিএ)-সহ অত্যাধুনিক প্রয়ুক্তির অস্ত্রশস্ত্র নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে চীন ও পাকিস্তান। এশিয়া-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে কথা হয়েছে।

সূ্ত্র জানাচ্ছে, রাজনাথ বৈঠকে অস্টিনকে অনুরোধ করেছেন, আমেরিকার কোম্পানিগুলি যাতে ভারত থেকে জিনিস কেনে সেটা নিশ্চিত করতে। ভারতীয় কোম্পানিগুলি যখন মার্কিন প্রযুক্তি কিনতে চায়, তখন প্রশাসনিক জটিলতার মধ্যে তাদের পড়তে হয়। এই পরিস্থিতির মধ্য়ে যাতে তাদের পড়তে না হয়, সেই অনুরোধও রাজনাথ অস্টিনকে করেছেন।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যৌথভাবে জেট ইঞ্জিন তৈরির বিষয়টি। গত প্রায় এক দশক ধরে এই আলোচনা চলছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে জিই ভারতের যুদ্ধবিমানের জন্য ইঞ্জিন বানাবে। জিই এই প্রযুক্তি দেবে। জিই এফ-৪১৪ ইঞ্জিন তখন ভারতে তৈরি হবে। মোদীর আসন্ন মার্কিন সফরের সময় এই চুক্তি হবে।

রাজনাথ বৈঠকে চীন ও পাকিস্তানের প্রসঙ্গ তোলেন। ভারতের তরফ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, চীন ও পাকিস্তান বিশ্বস্ত বন্ধু হতে পারে না। তাই তাদের সঙ্গে আমেরিকা যেন কোনো প্রতিরক্ষা সমঝোতা না করে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, রয়টার্স, প্রিন্ট

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.